সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সিন্দুকছড়ি জোনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইসমাইল হোসেনকে দুটি এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ইসমাইল হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে খাগড়াছড়ি জেলার শান্তিনগর এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী কংচাই মারমাকে আটক করার জন্য আরেকটি অভিযান পরিচালিত হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কংচাই মারমা একটি তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে তাদের লক্ষ করে ১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং পালানোর কোনো পথ না পেয়ে একপর্যায়ে সে ছাদ থেকে লাফ দেয়। কংচাই মারমাকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হয়, ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ৯ মিমি পিস্তল, পাঁচটি এলজি, ২১টি কার্তুজ এবং ১৮টি পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। আইএসপিআর জানিয়েছে, বর্তমানে লাশের ময়নাতদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য, কংচাই মারমা দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ি এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সন্ত্রাস দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।