রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় গৃহবধূ ফাহমিদা তাহসিন কেয়ার (২৫) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলাটি করেছেন। মামলায় নিহতের স্বামী সিফাত আলীসহ (৩০) নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমান।
তিনি বলেন, নিহত কেয়ার মা নাজমা বেগম মামলাটি করেছেন। তিনি সিফাত আলীকে প্রধান আসামি করেছেন। সিফাতের গাড়িচালককেও আসামি করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান। বুধবার রাতে কেয়ার পরিবারকে কল করে জানানো হয়, তাদের মেয়ে অসুস্থ। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তারা রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কেয়ার লাশ পান। শেওড়াপাড়া এলাকার শামীম সরণির ৩২২ নম্বর মেট্রো পিলারের উল্টা পাশে ৫৮৩ অনামিকা কনকর্ড অ্যাপার্টমেন্টে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন কেয়া। তার মৃত্যুর পর থেকেই স্বামী পলাতক। নিহত কেয়ার বাবা রফিকুল ইসলামের দাবি, আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তার গলায় দাগ দেখেছি। সুস্থ মানুষ তো হঠাৎ করে মারা যেতে পারে না। তাছাড়া আমার জামাই কেন পালিয়ে গেল? তিনি বলেন, ‘কেয়ার চার ছেলেমেয়ে। বড় মেয়েটি ভিকারুননিসা স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। এখন আমার ছোট নাতি-নাতনিদের কী হবে?’ রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে কেয়া ফোন করে বলছিল, সে আর সংসার করবে না। স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিল। আমরা তাকে বুঝিয়ে সংসার করতে বলি। এটাই আমাদের ভুল ছিল। না হয় আজ আমাদের মেয়েকে হারাতে হতো না।