ধান, গম, সার ও চিনিসহ ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের মোড়কের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আগামী ১৫ থেকে দেশব্যাপী আবারও বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে।
রবিবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সভা শেষে
সভা শেষে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এ তথ্য জানানা।
তিনি বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ বাস্তবায়নে এবার কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য এবার বিশেষ অভিযানে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আইনের ১৪ ধারা অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে। এ অপরাধ ফের সংগঠিত হলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি এই ছয়টি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি আরও ১১টি পণ্যে (মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুঁড়া) পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারণ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবারও পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি রোধ করতে আবারও ঢাকাসহ সারাদেশে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। এজন্য সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের এ আইন সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আগের মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ মনিটরিংয়ের জন্য আবারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ড. মো. মাহমুদুল রহমান, বাণিজ্য, কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিজেএমএ প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব