বেকারত্বের তালিকাটা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে, বাড়ছে হতাশা আর গ্লানি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক তথ্য মতে দেশের বেকারত্বের তালিকায় প্রাপ্ত বয়স্কের সংখ্যাটাও নেহায়েত কম নয়। বিবিএস জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৬০ লাখ। আর দেশে ১৫ বছরের চেয়ে বেশি পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে বেকার রয়েছে ২৬ লাখ মানুষ।
সম্প্রতি শ্রমশক্তি জরিপ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস। জরিপের বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা দিতেই এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। তবে আগামী ৩০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রমশক্তির এই জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করবে বিবিএস।
আগারগাঁওস্থ পরিসংখ্যানভবনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক। বিবিএস-এর মহাপরিচালক আমীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিবিএস -এর অতিরিক্ত সচিব এবিএম জাকির হোসেন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক বাইতুল আমীন ভুঁইয়া।
কর্মশালায় ইন্ডাষ্ট্রি এন্ড লেবার উইং -এর পরিচালক ঘোষ সুব্রত ও প্রকল্প পরিচালক কবীর হোসেন জানান, এ জরিপে এক ঘণ্টা কেউ কাজ করলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হয়নি। দেশে এক মাসের মধ্যে কাজের খোঁজ করেছিল এরকম মানুষের সংখ্যা ২৭ লাখ। সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার চেয়ে কম কাজ করে এরকম সময় ভিত্তিক বেকার রয়েছে ১৮ লাখ। সব মিলিয়ে ধরা হলে বেকার সংখ্যা দাঁড়ায় ৭১ লাখে।
জরিপের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, গেল বছর প্রতিবেদনে দেশের ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেকার থাকলেও শতাংশের হিসেবে এটি এবছর ৪ দশমিক ২ ভাগে নেমে এসেছে। কিন্তু জনসংখ্যার হিসাবে এটি আগের মতো ২৬ লাখ রয়ে গেছে।
অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি কৃষিখাতে শ্রমিকের সংখ্যা কমছে। এসব শ্রমিক চলে যাচ্ছে শিল্পে। আবার শিল্প থেকে চলে যাচ্ছে সেবাখাতে। দেশ উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরকমটি হচ্ছে বলে কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২০ এপ্রিল, ২০১৭/ই জাহান