বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটের দিবা সার্ভিসের এমভি গ্রীন লাইন-২ এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি বালু বোঝাই ছোট কার্গো ডুবে গেছে। আজ শনিবার বিকেল পৌঁনে ৪টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ভাঙ্গারমুখ সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ শতাধিক যাত্রী বোঝাই গ্রীন লাইন-২ ওয়াটার বাসের সামনের বাম দিকের তলানী ফেটে সেটিও ডুবুডুবু অবস্থায় নদী তীরে বেঁধে রাখা হয়। যদিও এই দুর্ঘটনায় বড় ধরনের কোন হতাহত হয়নি। তারা সকলেই নিরাপদে নেমে পড়েন। পরে বরিশাল নদী বন্দরে থাকা একটি লঞ্চে করে বিপদগ্রস্থ যাত্রীদের উদ্ধার করে নৌ বন্দরে পৌঁছে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। দুর্ঘটনা কবলিত গ্রীন লাইন নৌযানটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিআইডব্লিউটিএ'র উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক। দুর্ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে গ্রীন লাইন-২ দুপুরে বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছে। বিকেল ৩টার দিকে ফের ৪ শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌযানটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। প্রায় পৌঁনে ১ ঘন্টা চলার পর গ্রীন লাইন চরবাড়িয়া ভাঙগারমুখ সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী অতিক্রমকালে বিপরীতমুখি বালু বোঝাই একটি ছোট কার্গোর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তাৎক্ষণিক বালু বোঝাই কার্গোটি ডুবে যায়। কার্গোর কর্মচারীরা সাঁতরে তীর উঠতে সক্ষম হয়।
এদিকে সংঘর্ষে গ্রীন লাইনের সামনের অংশের তলানী ফেটে পানি ঢুকতে থাকলে যাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন। পানি ঢুকে কিছুক্ষণের মধ্যে নৌযানটি বাম দিকে কাত হতে থাকলে অনেক যাত্রী লাফিয়ে নদীতে পড়ে। অনেক যাত্রীকে আশপাশে থাকা নৌকা-ট্রলারে উদ্ধার করে। কেউ স্থানীয়দের পেতে দেয়া বাঁশ মারিয়ে নেমে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ডুবু-ডুবু অবস্থায় নৌযানটি নদীর তীরে বেঁধে রাখা হয়। এ কারণে কোন প্রাণহানী হয়নি। তবে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরীর কাউনিয়া থানার ওসি সেলিম রেজা।
বরিশাল নদী বন্দরের পরিদর্শক মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, কার্গো ডুবে গেলেও কর্মচারীরা নিরাপদে তীরে উঠতে পেরেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রীন লাইনের যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করে একটি লঞ্চযোগে নদী বন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। নৌযানটি উদ্ধার করতে উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিক দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
বিডি প্রতিদিন/২২ এপ্রিল ২০১৭/এনায়েত করিম/এ মজুমদার