খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, হাওর অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও দেশে খাদ্যের অভাব দেখা দেওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। সরকার দেশের অভ্যন্তরে ধান সংগ্রহের পাশাপাশি বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিতে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সোমবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকারি দলের এমপি গোলাম রাব্বানীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, গত বছরের তুলনায় দেশে বর্তমানে চালের মজুদ কিছুটা কম রয়েছে। হাওর অঞ্চলের বন্যায় ফসলহানির ঘাটতি পূরণ ও মজুদ সন্তোষজনক রাখতে সরকার বিদেশ থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে ৩ লাখ টন চাল আমদানির আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়া ভিয়েতনামের সঙ্গে জিটুজি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য এমওইউ স্বাক্ষর করতে বর্তমানে ভিয়েতনামের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছেন।
দেশের সব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারকাবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস প্রতি কেজি ১০ টাকা মূল্যে ৫০ লাখ উপকারভোগীর মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া খাদ্য চাহিদা পূরণে ভিজিডি, ভিডিএফ, জিআর ইত্যাদি খাতে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/০১ জুন, ২০১৭/মাহবুব