গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তারাঁয় জঙ্গি হামলার এক বছর পর হামলার পরিকল্পনাকারী সোহেল মাহফুজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পুসকুনী এলাকার একটি আমবাগান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার সঙ্গে জেএমবির আরও তিন সদস্যকে গেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, হলি আর্টিজানে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডগুলো সোহেল মাহফুজই সরবরাহ করেছিলেন। জেএমবির সাবেক শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের আমলে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া সোহেল মাহফুজকেকে অনেক দিনে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজছিলেন বলেও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে আদালতে নেয়ার পথে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন গ্রেফতার এই সোহেল মাহফুজ। তার জঙ্গিবাদে হাতেখড়ি হয় শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের আমলে।
পরে জেএমবির শীর্ষ ৬ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হলে সংগঠনটির জেএমবির শুরা (নীতি নির্ধারণী) কমিটির সদস্যপদ পান মাহফুজ। এরপর ২০১০ সালের দিকে তখনকার জেএমবির প্রধান সাইদুর রহমান গ্রেফতার হলে নিজে আত্মগোপনে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তরাঞ্চলে জেএমবিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মাহফুজ।
মাহফুজের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে নিহত নব্য জেএমবির সমন্বয়ক ও গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তামিম আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। মূলত তার আহ্বানে নব্য জেএমবিতে যুক্ত হয় তিনি। এরপর থেকে তিনি নব্য জেএমবির অস্ত্র কেনা, গ্রেনেড তৈরি এবং সরবরাহসহ আইটি শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সূত্র জানায়, তৈরি করতে গিয়ে সোহেল মাহফুজের বাঁ হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে এক হাত দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে দক্ষ তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব