মাদ্রাসা শিক্ষাকে কর্মমুখী ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে কারিগরী শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী।
মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক সমস্যা। জঙ্গিবাদ দমনে সরকার সাফল্য অর্জন করেছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান। সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত আব্বাস ভেইজি দেহনবি, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে এম ছায়েফ উল্যা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নর সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা কাফীলুদ্দীন সরকার ও বিশিষ্ট আলেম আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাদক ও জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে। পশ্চিমা শক্তিগুলো ইসলাম ও জঙ্গিবাদকে একসাথে করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, বিশ্বে যত বড় বড় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে সেখানে মুসলমানদের অংশগ্রহণ ছিল না। মদীনা সনদ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত ইসলামী শিক্ষা যেটি মহানবী (সা.) দিয়ে গেছেন সেটি ছেলে-মেয়েদের শিখাতে হবে। ফিতনা সৃষ্টিকারী শিক্ষা বাদ দিতে হবে। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা যদি ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে।’
বিডি প্রতিদিন/০৩ এপ্রিল ২০১৮/এনায়েত করিম