স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর দেশে প্রথম আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত দুর্যোগ মোকাবেলার কার্যক্রম শক্তিশালী, আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার উদ্দেশে আবহাওয়া আইন ২০১৮ নামে একটি বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজকের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
বিলে বলা হয়, সময়মতো সঠিক আবহাওয়া ও জলবায়ু পূর্বাবাস, আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ মোকাবেলা ও হ্রাস জনজীবন ও সম্পদের সুরক্ষা, জলবায়ু সম্পদের যৌক্তিক ব্যবহারের জন্য আবহাওয়া সার্ভিস সংক্রান্ত কার্যক্রম শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এ জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তর ঝড়ের পূর্বাভাষ, ভূমিকম্প ও ভূমিকম্প জনিত বন্যা সুনামির পূর্বাভাষ সনাক্ত ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, সংস্থাপন, সংরক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর একটি বিশেষায়িত আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষণা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭২ সালে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সদস্য পদ পেলেও অদ্যাপি আবহাওয়া বিষয়ক কোন আইন প্রণীত হয়নি। চলতি সংসদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২০১৫ সালে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের সুপারিশ করে। পরবর্তীতে আইনটির খসড়া মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। বিলটিতে সরকারি অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় সংবিধানের বিধি মোতাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়।
বিলে বলা হয়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের পরিসীমায় ভূমিকম্প ও ভূমিকম্প জনিত বন্যা, জলোচ্ছাস বা সুনামি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পারবে না। তবে করলে কী হবে আইনে তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার