অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের বাসভবনে হামলা করা হয়েছে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘উপাচার্যের বাড়ির যতোগুলো সিসি ক্যামেরা ছিল সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যে মনিটরটা ছিল সেটাও তারা নিয়ে গেছে। তারপরেও আমাদের কাছে কিছু আছে, আপনাদের (সংবাদকর্মীদের) ক্যামেরার ফুটেজগুলো আমাদের কাছে রয়েছে। এগুলো দেখে আমরা তাদের শনাক্ত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবশ্যই নেবো।’
তিনি বলেন, হামলায় কারা জড়িত তা শনাক্তে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারের সব বিভাগ কাজ করছে। এদের শনাক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। উপাচার্যের বাড়ি, গাড়ি ও আসববাপত্র ভাঙচুর হয়েছে, খোয়া গেছে। মুখোশ পরে আগে নারী ও পরে পুরুষরা ঢুকেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করতেই পারে। কোনো ছাত্র এ কাজ করতে পারে না। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এ কাজে জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নীলক্ষেত প্রান্ত দিয়ে এসব সন্ত্রাসীরা ঢুকেছে। হাজার খানেকেরও বেশি মানুষ ঢুকেছে। যে কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ছাত্ররা মুখোশ পড়বে কেন?’
কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফেইসবুকে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ছাড়াও অনেকেই গুজব ছড়িয়েছেন। যারা যারা গুজব ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের হামলায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ভুয়া সংবাদ ফেসবুকে যে ছড়িয়েছে তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনা ছাত্রদের উত্তেজিত করেছে। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হবে।
তিনি বলেন, উপাচার্যের বাড়িতে হামলার ঘটনা নিন্দনীয়, জঘন্য। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যই এটি করা হয়েছে। উপাচার্যকে নানাভাবে নাজেহাল করা হয়েছে। সচেতন সমাজ এটি সমর্থন করতে পারে না।
বিডি প্রতিদিন/১০ এপ্রিল ২০১৮/এনায়েত করিম