বিমানের সিট খালি যায় কিন্তু টিকেট পাওয়া যায় না। প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোর লাভ করছে অথচ বিমান লস করছে। এ বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে বাংলাদেশ বিমানের লাগেজ হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কমিটির সদস্যরা। কমিটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে টিকেট বিক্রয় ব্যবস্থা দ্রুত আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি লাগেজ হ্যান্ডলিং ব্যবস্থা উন্নত করার সপারিশ করেছে। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে হজ্জযাত্রী পরিবহণের স্বার্থে সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে বিমানের টিকেট দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংসদ ভবনে সোমবার অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩৬তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান। কমিটি সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, তানভীর ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান এবং সাবিহা নাহার বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সংসদ সচিবালয় জানায়, কমিটি যাত্রী হয়রানি নিরসনে বিমানের সিডিউল পরিবর্তন হলে দ্রুত সময়ে তা যাত্রীদের অবহিত করার সুপাাশি করে। পাশাপাশি কার্গো বিমানে আগত মালামালগুলো দ্রুত খালাস করতে সংশ্লিষ্ট এজেন্টদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া কমিটির বিমান বন্দরসমূহের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জটিলতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এটর্নি জেনারেল ও আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কার্যক্রম কী তা জানতে চেয়েছে কমিটি। এছাড়া গত ২০/২৫ বছর ধরে দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী নিয়ে কীভাবে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন চলছে তার ব্যখ্যা চায় কমিটি। পরে পর্যায়ক্রমে এসব কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী করার সুপারিশ করে কমিটি।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমান পরিচালনা পর্ষদ, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান ও পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিনিধি/৩০ এপ্রিল, ২০১৮/ফারজানা