কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কৃষকের উন্নয়ন করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য রাজস্ব বাজেটের আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বোরো মৌসুমে সেচকাজে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। সেজন্য সেচকাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ হারে রিবেট প্রদান করা হচ্ছে। সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুতের সেচ প্রদানে স্মার্ট কার্ড প্রচলন করা হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে কৃষকের ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকের দৌরগোড়ায় সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন সার ডিলার ও ৯ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করা হয়েছে। সারের ক্রয়মূল্য চার দফায় কমিয়ে সুষম সার ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে শতকরা ৩০ ভাগ কৃষাণীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বিলুপ্ত ফল ও ফুল রক্ষায় উদ্যোগ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র সদস্য রহিম উল্লাহ’র (ফেনী-৩) প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান, দেশে বিলুপ্ত প্রায় ফলের জাত সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১২টি দেশি ফল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্প্রসারণের জন্য দেশের ৭৫টি হার্টিকালচার সেন্টারে ১৮ লাখ ৭১ হাজার ৩শ’টি চারা/কলম উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই ১২টি ফল হলো- দেশি টক কুল, তেঁতুল, কাঁঠাল, বরিশালী আমড়া, জাম, বেল, কদবেল, ডালিম, তাল, সজিনা, বীচি কলা ও এসপ্যারাগাস।
তিনি আরও জানান, বিলুপ্ত প্রায় ফুলের জাত সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে ফুলের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষে চাষীদের আগ্রহ বেড়েছে। ভবিষ্যতে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় ফলের জার্মপ্লাজমসমূহ সংরক্ষণ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম