তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।
এর আগে, দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম।
রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামি রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখা হোক।
এসময় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। আদালতে শুনানিতে বলা হয়, দরখাস্তকারী নওশাবা অসুস্থ (ডায়রিয়া হয়েছে)। বর্তমানে মুক্ত জায়গায় চিকিৎসা করে আসামির জীবন বাঁচানো প্রয়োজন। এ কারণে আসামিকে জামিন দেওয়া হোক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে আসমির সু-চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট প্রথম দফায় চার দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট আসামি নওশাবা নিজের ফেসবুক থেকে অত্যান্ত আবেগী কণ্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলেন যে, ‘জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে এক জনের চোখ উঠাইয়া ফেলেছে এবং চারজনকে মেরে ফেলেছে। আপনারা যে যেখানে আছেন কিছু একটা করেন।’
তার এ আহ্বান মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। এতে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট র্যাব-১ এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সালের ৫৭(২) ধারায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম