বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে করুণা করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়া জামিন পেয়েছেন। মুক্তি তার প্রাপ্য। এটা করুণা বা দয়া ভিক্ষা নয়। অবিলম্বে তার মুক্তি দিন। না হলে আন্দোলনের মাধ্যমেই নেত্রীকে মুক্ত করা হবে।
সোমবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এই কথা বলেন।
সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। সারাদেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়েও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়। একই দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে দুই ঘণ্টা প্রতীক অনশনের কর্মসূচিও রয়েছে বিএনপির।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দাবি এদেশের জনগণের। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না দিলে এ দেশের জনগণ তা মানবে না। জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলে তা প্রতিহত করা হবে।
মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালীসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল ১০টা থেকেই নেতাকর্মীরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে জড় হতে শুরু করেন। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। কর্মসূচির কারণে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কের এক পাশে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ অন্য পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে।
এই কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সাঁজোয়া যান ও জল কামানের গাড়িকেও কাছাকাছি অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায়ে পাঁচ বছরের সাজায় খালেদা জিয়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮/আরাফাত