দেশের প্রতিরক্ষার জন্য আবশ্যক এবং জাতীয় অর্থ ও সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮’ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ কাজে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের দায়িত্বে থাকা আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার ২২তম অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রথম জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালাকে ভিত্তি করে দেশের প্রতিরক্ষার জন্য আবশ্যক এবং জাতীয় অর্থ ও সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮’ চূড়ান্ত করা হয়েছে। যা মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নে অধিকতর সমন্বয় এবং উক্ত বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণ করবার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে একটি সমন্বয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিশ্বমানের আধুনিক ডিজিটাল ম্যাপিং সিস্টেম চালু :
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সংসদকার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতরের পুরাতন এনালগ ম্যাপিং সিস্টেম পরিবর্তন করে বিশ্বমানের আধুনিক ডিজিটাল ম্যাপিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। অধিদফতরের জনবলকে দেশে-বিদেশে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের জন্য দক্ষ করে তোলা হয়েছে। মিরপুরের ধামালকোটে বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতরের অফিস ভবনে ডিজিটাল ফটোগ্রামেট্রি, জিআইএস এবং ডিজিটাল কার্টোগ্রাফি ল্যাব সম্বলিত আধুনিক ম্যাপিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের জন্য আকাশ-আলোকচিত্র ধারণ, সার্ভার, ওয়ার্কস্টেশন, সফটওয়্যার, প্রিন্টিং প্রেস স্থাপন ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতরের সকল ম্যাপ ভূ-উপাত্ত ও জিআইএস ডাটা ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রণয়ণ করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সকল সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির বিভিন্ন কাজে বিশেষ করে যে কোন প্রকল্পভিত্তিক কাজের জন্য চাহিদাকৃত ভূ-উপাত্ত/ডিজিটাল ম্যাপ হার্ডকপি/সফটকপি সরকারি গেজেট দ্বারা নির্ধারিত মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বর্তমানে ডিজিটাল ম্যাপিং সেন্টারে স্থাপিত ওয়েবসার্ভার হতে অনলাইনের মাধ্যমে ম্যাপ/ভূ-উপাত্তের ডিজিটাল সফট কপি বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত হতে বিকাল/রকেট/শিওরক্যাশ-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীগণ সংগ্রহ করতে পারছেন। এই পদ্ধতিতে তথ্য/উপাত্ত সরবরাহ করার ফলে দেশের বিভিন্ন কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যসম্পাদনের সহজতর হয়েছে এবং কাজের গতিশীলতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, মিয়ানমার থেকে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জিত হয়েছে। এই বিশাল সমুদ্রসীমায় জরিপ চালাতে বিশেষায়িত একটি জাহাজ প্রয়োজন। ইতোমধ্যে এই জাহাজটি ক্রয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাহাজটি এলেই সমুদ্রসীমায় জরিপ কার্য পরিচালনা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম