নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ৩ বছর বয়সী কুলসুম সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সুমাইয়ার সৎমা শিউলি আক্তারই শিশুটিকে হত্যা করেছেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গত রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের নুরবক্স চাপরাশি বাড়ি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমাইয়া একই বাড়ির সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমদের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়া তার সৎমা শিউলি আক্তারের সঙ্গে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। শনিবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সৎ মা শিশুটিকে মারধর করেন। পরে শিশুটিকে গোসল করিয়ে ঘুম পাড়ান। বিকেলে শিশুটি ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যায়। পরে সৎ মা বিষয়টি তার প্রবাসী স্বামীকে জানালে তিনি এক চিকিৎসককে বাসায় পাঠান, যিনি জানান শিশুটি আগেই মারা গেছেন।
প্রবাসী স্বামীর পরামর্শে সৎ মা রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে শিশুটির মরদেহ সুমাইয়ার গ্রামের বাড়ি খানপুরে নিয়ে যান। পরের দিন সকালে মরদেহ গোসল দেয়ার সময় স্থানীয়রা শিশুটির কানে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে ৯৯৯-এ খবর দেয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান জানান, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গলায় ও ডান কানে আঘাতের প্রমাণে সৎ মা গ্রেপ্তার হন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার রাতে শিশুটির দাদী মারজাহান বেগম হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক