বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র এখন আওয়ামী লীগ সরকারের বাক্সে বন্দী। এ গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারে বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক প্রতীকী গণ-অনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শিগগিরই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মোতায়েন করতে হবে। এছাড়া নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।
কারাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়াবিহীন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না।
অনশনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ গণঅনশন কর্মসূচি দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে। শীর্ষ নেতাদের অনশন ভাঙান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।
অনশন কর্মসূচিকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। কর্মসূচির আগেই নেতাকর্মীরা 'খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই' সংবলিত ব্যানার ফেস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সমবেত হয়।
এদিকে, অনুষ্ঠানের শেষ দিকে নেতাকর্মীদের মধ্যে হুড়াহুড়ি সৃষ্টি হয়। এতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই চলে যান।
অন্যদিকে, অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম