প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উদার গণতান্ত্রিক এবং ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ এবং রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিটি স্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত এবং গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করবে, যেখানে গণমানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাংলাদেশ ২০১৫ সালেই স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে এসেছে। এতেই প্রতীয়মান হয় যে, দেশ ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
আগামী ৩ বছরের মধ্যেই দেশ থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কেমন হবে সে জন্যই দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ এখনই শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী ২৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা এবং ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে শান্তিপূর্ণ, উন্নত-সমৃদ্ধ, সুখী একটি দেশ। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করেছে এবং অন্যান্য বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে ৭ দশমিক ৪ ভাগ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে যা ২০২০ সাল নাগাদ ৮ ভাগে উন্নীত হবে এবং দারিদ্রের হার বর্তমান ২২ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে।
ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি, মৎস্য, শিল্প কারখানা, বন, পানি ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সূত্র: বাসস
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ