পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে একটি মানুষকেও বঞ্চনার শিকার হতে দেওয়া যাবেনা। পুলিশকেও বিবেকের কাছে সচেতন ও সৎ থাকতে হবে। আমাদেরকেও বিবেকের কাছে সচেতন হয়ে, পুলিশকে সমাজের শান্তি আনতে সহায়তা করতে হবে। মাদক ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। মাদক গ্রাম ও জনপদকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। একটি প্রজন্ম এ ধ্বংসের শিকার। এটাকে যদি রক্ষা করা না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে প্রজন্ম শূণ্যতা দেখা দেবে। দেশের বড় দুটি চ্যালেঞ্জ উগ্রবাদ ও মাদক।
'পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ' স্লোগানকে সামনে রেখে সোমবার বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের উদ্যোগে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ কল্পে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে জনগণের সঙ্গে পুলিশের আস্থার এক সেতুবন্ধন। জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে সমাজকে সচেতন ও মুক্ত রাখার জন্য কমিউনিটি পুলিশিং এর অবদান হতে হবে সবচেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে কমিউনিটি পুলিশিং এর দায়িত্ব হবে, যেকোন ধরনের মাদক, জঙ্গিবাদ ও সমাজে অপরাধের মূল হোতাদের সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করা। বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। জঙ্গিবাদ ঠেকাতে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) গুলোকেও কাজে লাগাতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর এনজিওসমূহ যাতে কোন প্রকার জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হতে না পারে সেজন্য এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর। বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ কমিউনিটি পুলিশের আহ্বায়ক প্রফেসর আনোয়ার উল্ল্যাহ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান