যুক্তফ্রন্টের সভাপতি ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, এই যে ছল চাতুরির নির্বাচন, এই যে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং - এরকম ভবিষ্যতে হলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। গণতন্ত্র চিরকালের জন্য নির্বাসিত হয়ে যাবে। এই ধরনের কৌশলের নির্বাচন আমরা মানবো না। সুতরাং এবারের সংগ্রাম মানুষের ভোটাধিকারের সংগ্রাম। এই ‘কৌশলের নির্বাচন’ রুখতে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের কাউন্সিল হলে দুপুরে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘আধিপত্যবাদী থেকে দেশরক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে’ শিরোনামে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য রাখেন নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা আতাউলাহ ইবনে হাফেজী হুজুর, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি ববি হাজ্জাজ, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুল ইসলাম, ওয়াজিব আলী মোড়ল, আবদুর রশিদ খান চৌধুরী আবদুল আজিজ হাওলাদার প্রমূখ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আজকে জনগণের প্রধান অভিযোগ আমার ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সালে একটা নির্বাচন হলো, ১৫৪ জন সদস্য ভোট ছাড়া নির্বাচিত হলেন। ভোটারের অংশগ্রহন ছাড়া সংসদ তৈরি হলে গেলো। নির্বাচনের পর তাদের (আওয়ামী লীগের) প্রধানতম ব্যক্তি বললেন এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। অচিরেই আমরা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো। সমস্ত দল অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু কথা দিয়ে কথা রাখলো না এরা। ওয়াদার বরখেলাপ করলো। আর পবিত্র কোরআনে আছে, ওয়াদা বরখেলাপকারী সে সত্যিকার মুসলমান নয়। যারা ওয়াদা দিয়ে ওয়াদা ভঙ্গ করেছে, তারা কোথাও ভুল কাজ করছে কীনা জানি না। তবে মানুষের অন্তরে আঘাত করেছে, আমাদের অন্তরে আঘাত করেছে। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ আরো বলেন, আমি বলব, যারাই গণতন্ত্রের স্বপক্ষের শক্তি তাদেরকে জেগে উঠতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে এবং বলতে হবে যে, এই ধরনের কৌশলের নির্বাচন আমরা মানবো না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা- এটাই হবে এক নাম্বার সংগ্রাম। এটাই হলো বাংলাদেশের ইতিহাসের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানোর একমাত্র উপায়।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন