সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার রাত থেকেই ঢাকা মহানগরীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, জনসভায় বিপুল সমাগম দেখে সরকারের কাঁপুনি ধরে গেছে। সেজন্যই বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক হারে গ্রেফতারকে সরকার রক্ষাকবচ মনে করছে।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, গতকাল (শনিবার) বিএনপির জনসভা মহাসাগরে পরিণত হয়। চারদিক থেকে ধেয়ে আসা জনস্রোতে সোহরাওয়ার্দীর বিশাল প্রান্তর কানায় কানায় ভরে যায়। রমনা পার্কসহ আশপাশের রাস্তাঘাট, মোড় ও ফুটপাত মিটিং শুনতে আসা মানুষে ঠাসা ছিল। শাহবাগ, কাকরাইল, মৎস্যভবন এলাকা সংলগ্ন এলাকায়ও ছিল উর্মিমালার মতো জনতার ঢেউ। অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সমাবেশে মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপির জনপ্রিয়তা কমেছে। এর উত্তরে নীরব হাসি ছাড়া আর কিইবা বলতে পারি, যোগ করেন বিএনপির এই মুখপাত্র।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির টাকা খরচ করেও সমাবেশে মানুষ আনতে পারেন না। অথচ বিএনপির সমাবেশে পথে পথে সরকারি দলের বাধার মুখেও বিপুল মানুষের সমাগম দেখে হতাশায় তারা প্রলাপ বকছেন।
জনসভার আসার পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে অভিযোগ করেন বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপির জনসভা ঘিরে ঢাকার ভিতরে ও আশপাশের বিভিন্ন পয়েন্টে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আসার পথে সন্দেহ হলেই বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে। মারধরের ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন স্থানে।
বিডি-প্রতিদিন/০১ অক্টোবর, ২০১৮/মাহবুব