১০ মার্চ, ২০১৯ ২০:১২
সংসদে দুই বিল

প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য দুই বছরের বিনাশ্রম দণ্ড

উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণে পুরস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য দুই বছরের বিনাশ্রম দণ্ড

প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের বিধান রেখে ‘প্রাণি কল্যাণ বিল, ২০১৯’ এবং উদ্ভিদের নতুন জাত উদ্ভাবন ও স্থানীয় জনপ্রিয় জাতগুলোকে বিলুপ্তি থেকে রক্ষার বিধান রেখে ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল-২০১৯’ শীর্ষক দু’টি সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদানের জন্য কৃষককের আর্থিক পুরস্কার ও ‘স্বীকৃতি সনদ’ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য বিলে সর্বোচ্চ দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার সংসদের বৈঠকে ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল-২০১৯’ উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু উত্থাপন করেন ‘প্রাণি কল্যাণ বিল, ২০১৯’ । পরে বিল দু’টি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ, সদয় আচরণ ও দায়িত্বশীল প্রতিপালনের মাধ্যমে প্রাণী কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিলে যৌক্তিক কারণ ছাড়া প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ থেকে বিরত রাখার সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে। আইনের বিধান লংঘনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সর্বোচ্চ দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সর্বনিম্ন ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডণ্ড বা দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে প্রাণীকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করানো, অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রহার, প্রয়োজনীয় খাদ্য না দেয়া, বসবাসের যথাযথ ব্যবস্থা না করা, উত্যক্ত করা, ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ, আহত প্রাণির চিকিৎসা না করা, অনুমোদন ছাড়া বিনোদন বা খেলাধুলায় ব্যবহারকে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ হিসাবে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। অবশ্য প্রয়োজনে উল্লেখিত কোনো কোনো কর্মকাণ্ডকে নিষ্ঠুরতা থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিধানও রাখা হয়েছে।

এদিকে, উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিলে কৃষক ও প্রজননবিদদের অধিকার রক্ষায় ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রজননবিদ বা কৃষকের উদ্ভাবিত জাত ‘সংরক্ষিত জাত’ হিসেবে নিবন্ধন করবে। উদ্ভিদের প্রজাতি নির্ধারণও এই কর্তৃপক্ষের কাজ হবে। একইসঙ্গে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদানের জন্য কৃষককেও আর্থিক পুরস্কার ও ‘স্বীকৃতি সনদ’ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বিলে কোনও ব্যক্তি সংরক্ষিত জাতের মিথ্যা নাম দিলে বা নিবন্ধিত কোনও জাতের বাণিজ্যিক ব্যবহারের সময় স্বেচ্ছায় কোনও মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/১০ মার্চ, ২০১৯/মাহবুব

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর