শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:৪১, রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ আপডেট:

শিক্ষকের লাম্পট্যে ছাত্রীর সর্বনাশ

কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার, ভিকারুননিসার পরিমল চন্দ্র জয়ধর, সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার মতো নৈতিকতা বর্জিত শিক্ষকের লাম্পট্যে বহু ছাত্রীর সর্বনাশ। পাঁচ বছরে সহস্রাধিক ছাত্রী শিক্ষকের লালসার শিকার
সাঈদুর রহমান রিমন
অনলাইন ভার্সন
শিক্ষকের লাম্পট্যে ছাত্রীর সর্বনাশ

কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার, ভিকারুননিসার পরিমল চন্দ্র জয়ধর, সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার মতো নৈতিকতা বর্জিত একশ্রেণির শিক্ষকের লাম্পট্যে বহু ছাত্রীর সর্বনাশ ঘটেছে। গত পাঁচ বছরে সারা দেশে সহস্রাধিক ছাত্রী এসব শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়েছে। একই রকম বর্বরতার ফাঁদে আটকে আছে আরও অসংখ্য ছাত্রী। তাদের কারও শিক্ষাজীবন ধ্বংস হয়ে গেছে, চুরমার হয়েছে সব স্বপ্ন। শিক্ষক নামধারী কিছু লম্পটের হাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাধ্যমিক স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিশু ছাত্রীরা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। সম্প্রতি এক শিক্ষকের ঘৃণ্য লালসায় পঞ্চম শ্রেণির শিশু ছাত্রীর গর্ভবতী হয়ে পড়ার খবর জানা গেছে। একশ্রেণির শিক্ষক একই সময়ে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি করে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে কোনো কোনো শিক্ষক পর্নো ভিডিও তৈরির বাণিজ্যও ফেঁদে বসেছেন।

শিক্ষকতার মতো সম্মান আর মর্যাদাপূর্ণ পেশার আড়ালে যৌন নিপীড়ক হয়ে উঠছেন কিছু শিক্ষক। ফলে আদর্শবান শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন। আর আস্থাহীনতায় ভুগছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, ছেলে-মেয়ে শিক্ষকের কাছে থাকলে তারা নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু শিক্ষক নামধারী কিছু শয়তান এসব কর্মকাণ্ডে  জড়িত থাকায় আস্থাহীন হয়ে পড়েছেন তারা। শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষকতার চাদর মুড়ি দিয়ে যারা যৌন নিপীড়ক হয়ে উঠেছেন তারা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নয়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পিতৃতুল্য শিক্ষকদের এসব জঘন্যতায় ছাত্রীরা যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, তেমনি অভিভাবক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী কমিটিসহ সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। পিতৃতুল্য শিক্ষকদের প্রেমিক হয়ে ওঠার প্রবণতা রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি উঠেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সপ্তাহব্যাপী এক অনুসন্ধানে একশ্রেণির শিক্ষকের বর্বরতার চিত্র বেরিয়ে এসেছে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছেই বেশির ভাগ ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তবে শহুরে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনাগুলোই বেশি প্রকাশ পায়, জানাজানি হয়। শিক্ষকরা পরীক্ষায় ফেল করানো বা সর্বোচ্চ নম্বর পাইয়ে দেওয়া, অভিভাবকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছাত্রীদের হেনস্তা করা, সেমিস্টার ড্রপ দেওয়ানো, বই-খাতার মধ্যে নগ্ন দৃশ্যাবলি, চটি বই বা কল্পিত প্রেমপত্র গুঁজে দিয়ে তা আবিষ্কার করা ইত্যাদি কৌশল ব্যবহার করে ছাত্রীদের ফাঁদে ফেলে। শিক্ষকদের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেও কোনো সুরাহা পান না ছাত্রীরা। বরং নানা কৌশলে অভিযোগকারী ছাত্রীদেরই হেনস্তা করা হয়। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় উল্টো ছাত্রীকেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের উদাহরণ রয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের যৌন হয়রানি প্রমাণিত হলে ‘শিক্ষকের শাস্তি’ হিসেবে বড়জোর ক্লাসের দায়িত্ব পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় কোনোরকম দোষ না থাকলেও অভিযোগকারী ছাত্রীকে ভর্ৎসনা করা হয় এবং তার অভিভাবকদেরও অপমান অপদস্থ করাসহ নানা পর্যায়ে সতর্ক করার ঘটনা ঘটে। ফলে অভিযোগকারী ছাত্রী স্কুল ও নিজ গৃহে প্রচ  মানসিক চাপের শিকার হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার শিক্ষাজীবনেরও ইতি ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার মধ্য দিয়েই নিজের সব গ্লানির চিরসমাপ্তি ঘটায় ভুক্তভোগী ছাত্রী।

সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়েরের ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে হাত-পা বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার নৃশংস হত্যাকা  নিয়ে সোনাগাজীর মানুষজন বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে, তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমসমূহে ছড়িয়ে পড়েছে ধিক্কার, নিন্দা, প্রতিবাদের ছড়াছড়ি। এরই মধ্যে ফেসবুকের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীদের করুণ আহাজারি। ‘শেখ হাসিনা হল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’ নামে একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাস এখনো পাতায় পাতায় ঘুরছে-ফিরছে। পোস্টটি হচ্ছে ‘মাননীয় প্রভোস্ট স্যার, আমাদের বাঁচান। কয়েক দিন আগে আমাদের হলে যৌন নির্যাতনবিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানেই (শেখ হাসিনা হলে) আমাদের হলের একজন হাউস টিউটর স্যারের দ্বারা হলের ছাত্রীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ওই শিক্ষকের নাম আমজাদ হোসেন। তিনি শুধু আমাকে না, হলের বিভিন্ন ছাত্রীকে নির্যাতন করছেন। হলের ছাত্রীদেরকে তার রুমে নিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলেন, নিপীড়ন করেন। যেটা আমরা শোনার জন্য অভ্যস্ত নই। স্যার আপনারও মা, বোন আছে, মেয়ে আছে। তাদের কথা চিন্তা করে হলেও আমাদেরকে রক্ষা করেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের উল্লিখিত হাউস টিউটর (আবাসিক শিক্ষক) দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে নির্যাতিতা ছাত্রীরা। নিজের সামাজিক অবস্থান, মান-সম্মান আর শিক্ষাজীবনের কথা চিন্তা করে নির্যাতিতা ছাত্রীরা নীরব থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক এতটাই প্রতাপশালী যে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন পার করা কঠিন বলেও মনে করেন তারা। এ কারণেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রীরা তাদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন। ইদানীং ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পাতা খুললেই শিক্ষক-ছাত্রীর অশালীন দৃশ্যাবলি, রগরগে যৌনতার পর্নো ভিডিও অহরহ চোখে পড়ে। এসব দৃশ্যের ভিডিওচিত্র পুঁজি করেই ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করে দিনের পর দিন যৌন নিপীড়ন চালানো হয় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা হাতানোরও নজির রয়েছে।

অনৈতিক সম্পর্ক এবং পর্নো ভিডিওর বাণিজ্য : ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের পর্নো ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতানোর অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হচ্ছে, ইয়াসিন আরাফাত ও সাইফুল ইসলাম। র‌্যাব জানায়, শিক্ষক নামধারী এ দুজন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতো। সেই সময়ের দৃশ্য গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করা হতো। পরে এসব ভিডিও দেখিয়ে তাদের যখন তখন গোপন মেলামেশা ও পর্নোগ্রাফি  তৈরিতে বাধ্য করত। অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াসিন আরাফাত ইংরেজিতে অনার্স করে একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগ দেন। কয়েক মাস চাকরির পর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে একটি কিন্ডারগার্টেনে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে সে চাকরি পেলেও একই কারণে তা হারাতে হয়। শেষে সে গৃহশিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থী পড়ানো শুরু করে। অপর আসামি সাইফুল ইসলাম বেসরকারি স্কুলে হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। দেড় বছর চাকরির পর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় তাকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এরপর সে আরেকটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকরি পেলেও একই কারণে সেখানেও বরখাস্ত হতে হয় তাকে। সর্বশেষ সে কিন্ডারগার্টেনে চাকরির পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতা করত।

এক স্কুলেই ৩০ শিশু ধর্ষণ : লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একজন খন্ডকালীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী তোফায়েল আহমেদ নামের ওই শিক্ষকের বিচার দাবি তুলতেই প্রভাবশালী একটি চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সুযোগেই অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ কৌশলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমণী মোহন ইউনিয়নের করাতিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন বছর আগে খ কালীন শিক্ষক নিযুক্ত হন তোফায়েল আহমেদ। তার বাড়ি সদর উপজেলার মাছিমনগর গ্রামে। তবে স্কুলসংলগ্ন চররমণী মোহন এলাকার হাওলাদার বাড়িতে তিনি  লজিং থাকতেন। স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করতেন এবং প্রাইভেটও পড়াতেন। প্রাইভেট পড়ানো শেষে একেক দিন একেক ছাত্রীকে অপেক্ষায় রাখতেন এবং নির্জনতার সুযোগ নিয়ে যৌন নির্যাতন চালাতেন। পরে নির্যাতিত ছাত্রীদের হাতে কোরআন-হাদিস ধরিয়ে এসব ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শপথ করাতেন।

ধর্মান্ধতার অজানা শঙ্কায় নির্যাতিতা ছাত্রীরা কেউ কারও কাছে যৌন হয়রানির বিষয়টি প্রকাশ করত না। কিন্তু সম্প্রতি এক ছাত্রী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ওই ধর্ষক শিক্ষক তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলতেই একের পর এক ছাত্রী অভিন্ন অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীদের অভিভাবকরা অন্তত ত্রিশ জন শিশু ছাত্রীর ওপর যৌন হয়রানি চালানোর অভিযোগ তুলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার কঠোর বিচার দাবি করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক গাঢাকা দেওয়ায় এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

কৌশল হিসেবে বিয়ে, তিন মাসেই তালাক : কালিগঞ্জের মোহাম্মদনগর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম গাজী (৩৮) একই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল হিসেবে বিয়ে করেন এবং কিছুদিন পরই তালাকনামা আদায় করে নিয়েছেন। তিন সন্তানের জনক ওই লম্পট শিক্ষক ইব্রাহীম গাজী কালিগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত হারান গাজীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী মাছুরাকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে সাতক্ষীরা কোর্টে নিয়ে বিয়ে করে বিষয়টি গোপন রেখে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ পেলে ওই শিক্ষকের সহযোগী হিসেবে পরিচিত কতিপয় মাতব্বর শ্রেণির লোকজন ৫০ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক তালাকনামায় মেয়েটির স্বাক্ষর আদায় করে নেন। তিন মাসের কথিত বিয়েতে ছাত্রীটি তার শিক্ষকের কাছ থেকে মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়নি। পেয়েছে শুধু যৌন হয়রানি। একইভাবে ছাত্রীদের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে কথিত বিয়ের নামে সংসার গড়ে তোলা এবং ২/৩ মাস পরে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করার অপকর্ম করেছেন রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার শিক্ষক ইয়াসিন আরাফাত। এক ছাত্রীকে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে ডিভোর্স দেন এবং ছয় মাস আগে আরেক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন আরাফাত। সম্প্রতি তাকেও ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। যাদের বিয়ে করতেন তাদের সবার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করতেন। ডিভোর্সের পর তার কাছে নগ্ন ভিডিও আছে দাবি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। বিয়ের ছলনায় এ পর্যন্ত তিনি পাঁচজন ছাত্রীর পর্নো ভিডিও করেছেন।

ধর্ষণের ভিডিও করে তিন বছর ধরে ব্ল্যাকমেইল : দরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেয়েটি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছে।  এ কারণে স্কুলের শিক্ষকরা সবাই ওকে যথেষ্ট স্নেহ করেন। তবে রবিউল ইসলাম নামের একজন শিক্ষক তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে পড়ায়। মাঝেমধ্যে আর্থিক সহযোগিতাও করে। এভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়া মেয়েটিকে একদিন ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। ধর্ষণের সেই দৃশ্য ভিডিও করে তা ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টানা তিন বছর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে গর্ভপাতও করানো হয়। একপর্যায়ে মেয়েটি দেখতে পায় যে ওই শিক্ষক আরও কয়েক ছাত্রীকে একই কায়দায় জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক করছে। এবার সাহস করে মুখ খোলে সে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে। একই ধরনের অভিযোগ করে আরও দুই ছাত্রীর পরিবার। এরপরই একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অডিও রেকর্ড ও ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয় ওই লম্পট শিক্ষক। মাদারীপুর শিবচরের উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের এমন গুরুতর অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের তথ্যানুসন্ধানে শিক্ষকদের গোপন ভিডিওর ফাঁদে এখনো বহু ছাত্রী জিম্মিদশায় দিনাতিপাত করার নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সর্বনাশা ফাঁদে সর্বস্ব হারানো ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয়েও অজানা আশঙ্কায় সেসব কথা প্রকাশ করতে পারছে না। পরিবারের সদস্যদের জানালে উল্টো মানসিক নির্যাতনের ভয় তাদের প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়ায়।

সাভার ও কালিয়াকৈর এলাকায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছাত্রী তাদের ওপর শিক্ষকদের যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে উল্টো বিপাকে পড়েছে। এসব বিষয় জানাজানির শঙ্কায় নিজ পরিবারের সদস্যরাই কিশোরী দুজনকে দ্রুত অন্যত্র বিয়েতে বাধ্য করেছে। তাদের পড়ালেখার ইতি ঘটেছে। মনের কোণে আঁকা স্বপ্নগুলোও চুরমার হয়ে গেছে। কিন্তু বিচার হয়নি ধর্ষক শিক্ষকদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ তোলা ছাত্রীদের পড়াশোনা বন্ধ করে তড়িঘড়ি যে কোনো ধরনের পাত্রের সঙ্গে বিয়ের শাস্তি চাপিয়ে দেয় পরিবার।

থামছেই না যৌন নিগ্রহের খড়গ : ধর্মের পবিত্র উপাসনালয় মনে করে সন্তানদের পাঠানো মাদ্রাসায় ছাত্রীরাই নয়, ছাত্ররা পর্যন্ত বিকৃত যৌন ও নির্মম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।  মৌলভীবাজারে কাশীনাথ আলাউদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আয়ুুব আলীকে স্কুলের পাঁচজন ছাত্রের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্ত করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে মাদ্রাসা শিক্ষক বা মসজিদের ইমাম কর্তৃক ছাত্রদের ওপর বলাৎকার চালানোর আড়াই শতাধিক ঘটনা তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত তিন বছরের মধ্যেই এসব অপকর্ম ঘটছে। পিতৃতুল্য কতিপয় শিক্ষক নামধারী ছাত্রীদের ধোঁকা ও গুপ্ত প্রেম-ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক গড়ার সুযোগে ব্যস্ত থাকে। সেই শিক্ষক নামধারী কতিপয় লম্পট, চরিত্রহীন, নরপশু দ্বারাই আজ বিভিন্নভাবে নিগ্রহ হচ্ছে কোমলমতি ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক হেলাল প্রাইভেট পড়ানোর কৌশলে ছাত্রীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে ছবি তোলা ও পরে ওই ছবি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে যৌন নির্যাতন চালাত। বর্বর সেই পান্না মাস্টারের বিরুদ্ধে প্রায় দেড়শ ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে পর্নো ভিডিও তৈরির অভিযোগ প্রমানিত হয়। ছাত্রীর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গেল বছর দিনাজপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ ১৪ জেলায় অন্তত ২১ জন শিক্ষককে গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে। এরপরও থামছে না ছাত্রীদের ওপর যৌন নিগ্রহের খড়গ।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬৪১
দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬৪১
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
‘স্বৈরাচার উৎখাতে জুলাই যোদ্ধাদের প্রচেষ্টা ছিল শেষ না হওয়া ম্যারাথনের মতো’
‘স্বৈরাচার উৎখাতে জুলাই যোদ্ধাদের প্রচেষ্টা ছিল শেষ না হওয়া ম্যারাথনের মতো’
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

২ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৯ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা