শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:৪১, রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ আপডেট:

শিক্ষকের লাম্পট্যে ছাত্রীর সর্বনাশ

কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার, ভিকারুননিসার পরিমল চন্দ্র জয়ধর, সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার মতো নৈতিকতা বর্জিত শিক্ষকের লাম্পট্যে বহু ছাত্রীর সর্বনাশ। পাঁচ বছরে সহস্রাধিক ছাত্রী শিক্ষকের লালসার শিকার
সাঈদুর রহমান রিমন
অনলাইন ভার্সন
শিক্ষকের লাম্পট্যে ছাত্রীর সর্বনাশ

কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার, ভিকারুননিসার পরিমল চন্দ্র জয়ধর, সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার মতো নৈতিকতা বর্জিত একশ্রেণির শিক্ষকের লাম্পট্যে বহু ছাত্রীর সর্বনাশ ঘটেছে। গত পাঁচ বছরে সারা দেশে সহস্রাধিক ছাত্রী এসব শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়েছে। একই রকম বর্বরতার ফাঁদে আটকে আছে আরও অসংখ্য ছাত্রী। তাদের কারও শিক্ষাজীবন ধ্বংস হয়ে গেছে, চুরমার হয়েছে সব স্বপ্ন। শিক্ষক নামধারী কিছু লম্পটের হাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাধ্যমিক স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিশু ছাত্রীরা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। সম্প্রতি এক শিক্ষকের ঘৃণ্য লালসায় পঞ্চম শ্রেণির শিশু ছাত্রীর গর্ভবতী হয়ে পড়ার খবর জানা গেছে। একশ্রেণির শিক্ষক একই সময়ে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি করে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে কোনো কোনো শিক্ষক পর্নো ভিডিও তৈরির বাণিজ্যও ফেঁদে বসেছেন।

শিক্ষকতার মতো সম্মান আর মর্যাদাপূর্ণ পেশার আড়ালে যৌন নিপীড়ক হয়ে উঠছেন কিছু শিক্ষক। ফলে আদর্শবান শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন। আর আস্থাহীনতায় ভুগছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, ছেলে-মেয়ে শিক্ষকের কাছে থাকলে তারা নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু শিক্ষক নামধারী কিছু শয়তান এসব কর্মকাণ্ডে  জড়িত থাকায় আস্থাহীন হয়ে পড়েছেন তারা। শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষকতার চাদর মুড়ি দিয়ে যারা যৌন নিপীড়ক হয়ে উঠেছেন তারা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নয়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পিতৃতুল্য শিক্ষকদের এসব জঘন্যতায় ছাত্রীরা যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, তেমনি অভিভাবক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী কমিটিসহ সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। পিতৃতুল্য শিক্ষকদের প্রেমিক হয়ে ওঠার প্রবণতা রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি উঠেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সপ্তাহব্যাপী এক অনুসন্ধানে একশ্রেণির শিক্ষকের বর্বরতার চিত্র বেরিয়ে এসেছে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছেই বেশির ভাগ ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তবে শহুরে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনাগুলোই বেশি প্রকাশ পায়, জানাজানি হয়। শিক্ষকরা পরীক্ষায় ফেল করানো বা সর্বোচ্চ নম্বর পাইয়ে দেওয়া, অভিভাবকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছাত্রীদের হেনস্তা করা, সেমিস্টার ড্রপ দেওয়ানো, বই-খাতার মধ্যে নগ্ন দৃশ্যাবলি, চটি বই বা কল্পিত প্রেমপত্র গুঁজে দিয়ে তা আবিষ্কার করা ইত্যাদি কৌশল ব্যবহার করে ছাত্রীদের ফাঁদে ফেলে। শিক্ষকদের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেও কোনো সুরাহা পান না ছাত্রীরা। বরং নানা কৌশলে অভিযোগকারী ছাত্রীদেরই হেনস্তা করা হয়। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় উল্টো ছাত্রীকেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের উদাহরণ রয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের যৌন হয়রানি প্রমাণিত হলে ‘শিক্ষকের শাস্তি’ হিসেবে বড়জোর ক্লাসের দায়িত্ব পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় কোনোরকম দোষ না থাকলেও অভিযোগকারী ছাত্রীকে ভর্ৎসনা করা হয় এবং তার অভিভাবকদেরও অপমান অপদস্থ করাসহ নানা পর্যায়ে সতর্ক করার ঘটনা ঘটে। ফলে অভিযোগকারী ছাত্রী স্কুল ও নিজ গৃহে প্রচ  মানসিক চাপের শিকার হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার শিক্ষাজীবনেরও ইতি ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার মধ্য দিয়েই নিজের সব গ্লানির চিরসমাপ্তি ঘটায় ভুক্তভোগী ছাত্রী।

সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়েরের ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে হাত-পা বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার নৃশংস হত্যাকা  নিয়ে সোনাগাজীর মানুষজন বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে, তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমসমূহে ছড়িয়ে পড়েছে ধিক্কার, নিন্দা, প্রতিবাদের ছড়াছড়ি। এরই মধ্যে ফেসবুকের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীদের করুণ আহাজারি। ‘শেখ হাসিনা হল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’ নামে একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাস এখনো পাতায় পাতায় ঘুরছে-ফিরছে। পোস্টটি হচ্ছে ‘মাননীয় প্রভোস্ট স্যার, আমাদের বাঁচান। কয়েক দিন আগে আমাদের হলে যৌন নির্যাতনবিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানেই (শেখ হাসিনা হলে) আমাদের হলের একজন হাউস টিউটর স্যারের দ্বারা হলের ছাত্রীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ওই শিক্ষকের নাম আমজাদ হোসেন। তিনি শুধু আমাকে না, হলের বিভিন্ন ছাত্রীকে নির্যাতন করছেন। হলের ছাত্রীদেরকে তার রুমে নিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলেন, নিপীড়ন করেন। যেটা আমরা শোনার জন্য অভ্যস্ত নই। স্যার আপনারও মা, বোন আছে, মেয়ে আছে। তাদের কথা চিন্তা করে হলেও আমাদেরকে রক্ষা করেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের উল্লিখিত হাউস টিউটর (আবাসিক শিক্ষক) দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে নির্যাতিতা ছাত্রীরা। নিজের সামাজিক অবস্থান, মান-সম্মান আর শিক্ষাজীবনের কথা চিন্তা করে নির্যাতিতা ছাত্রীরা নীরব থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক এতটাই প্রতাপশালী যে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন পার করা কঠিন বলেও মনে করেন তারা। এ কারণেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রীরা তাদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন। ইদানীং ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পাতা খুললেই শিক্ষক-ছাত্রীর অশালীন দৃশ্যাবলি, রগরগে যৌনতার পর্নো ভিডিও অহরহ চোখে পড়ে। এসব দৃশ্যের ভিডিওচিত্র পুঁজি করেই ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করে দিনের পর দিন যৌন নিপীড়ন চালানো হয় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা হাতানোরও নজির রয়েছে।

অনৈতিক সম্পর্ক এবং পর্নো ভিডিওর বাণিজ্য : ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের পর্নো ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতানোর অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হচ্ছে, ইয়াসিন আরাফাত ও সাইফুল ইসলাম। র‌্যাব জানায়, শিক্ষক নামধারী এ দুজন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতো। সেই সময়ের দৃশ্য গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করা হতো। পরে এসব ভিডিও দেখিয়ে তাদের যখন তখন গোপন মেলামেশা ও পর্নোগ্রাফি  তৈরিতে বাধ্য করত। অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াসিন আরাফাত ইংরেজিতে অনার্স করে একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগ দেন। কয়েক মাস চাকরির পর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে একটি কিন্ডারগার্টেনে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে সে চাকরি পেলেও একই কারণে তা হারাতে হয়। শেষে সে গৃহশিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থী পড়ানো শুরু করে। অপর আসামি সাইফুল ইসলাম বেসরকারি স্কুলে হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। দেড় বছর চাকরির পর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় তাকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এরপর সে আরেকটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকরি পেলেও একই কারণে সেখানেও বরখাস্ত হতে হয় তাকে। সর্বশেষ সে কিন্ডারগার্টেনে চাকরির পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতা করত।

এক স্কুলেই ৩০ শিশু ধর্ষণ : লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একজন খন্ডকালীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী তোফায়েল আহমেদ নামের ওই শিক্ষকের বিচার দাবি তুলতেই প্রভাবশালী একটি চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সুযোগেই অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ কৌশলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমণী মোহন ইউনিয়নের করাতিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন বছর আগে খ কালীন শিক্ষক নিযুক্ত হন তোফায়েল আহমেদ। তার বাড়ি সদর উপজেলার মাছিমনগর গ্রামে। তবে স্কুলসংলগ্ন চররমণী মোহন এলাকার হাওলাদার বাড়িতে তিনি  লজিং থাকতেন। স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করতেন এবং প্রাইভেটও পড়াতেন। প্রাইভেট পড়ানো শেষে একেক দিন একেক ছাত্রীকে অপেক্ষায় রাখতেন এবং নির্জনতার সুযোগ নিয়ে যৌন নির্যাতন চালাতেন। পরে নির্যাতিত ছাত্রীদের হাতে কোরআন-হাদিস ধরিয়ে এসব ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শপথ করাতেন।

ধর্মান্ধতার অজানা শঙ্কায় নির্যাতিতা ছাত্রীরা কেউ কারও কাছে যৌন হয়রানির বিষয়টি প্রকাশ করত না। কিন্তু সম্প্রতি এক ছাত্রী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ওই ধর্ষক শিক্ষক তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলতেই একের পর এক ছাত্রী অভিন্ন অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীদের অভিভাবকরা অন্তত ত্রিশ জন শিশু ছাত্রীর ওপর যৌন হয়রানি চালানোর অভিযোগ তুলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার কঠোর বিচার দাবি করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক গাঢাকা দেওয়ায় এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

কৌশল হিসেবে বিয়ে, তিন মাসেই তালাক : কালিগঞ্জের মোহাম্মদনগর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম গাজী (৩৮) একই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল হিসেবে বিয়ে করেন এবং কিছুদিন পরই তালাকনামা আদায় করে নিয়েছেন। তিন সন্তানের জনক ওই লম্পট শিক্ষক ইব্রাহীম গাজী কালিগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত হারান গাজীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী মাছুরাকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে সাতক্ষীরা কোর্টে নিয়ে বিয়ে করে বিষয়টি গোপন রেখে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ পেলে ওই শিক্ষকের সহযোগী হিসেবে পরিচিত কতিপয় মাতব্বর শ্রেণির লোকজন ৫০ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক তালাকনামায় মেয়েটির স্বাক্ষর আদায় করে নেন। তিন মাসের কথিত বিয়েতে ছাত্রীটি তার শিক্ষকের কাছ থেকে মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়নি। পেয়েছে শুধু যৌন হয়রানি। একইভাবে ছাত্রীদের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে কথিত বিয়ের নামে সংসার গড়ে তোলা এবং ২/৩ মাস পরে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করার অপকর্ম করেছেন রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার শিক্ষক ইয়াসিন আরাফাত। এক ছাত্রীকে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে ডিভোর্স দেন এবং ছয় মাস আগে আরেক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন আরাফাত। সম্প্রতি তাকেও ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। যাদের বিয়ে করতেন তাদের সবার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করতেন। ডিভোর্সের পর তার কাছে নগ্ন ভিডিও আছে দাবি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। বিয়ের ছলনায় এ পর্যন্ত তিনি পাঁচজন ছাত্রীর পর্নো ভিডিও করেছেন।

ধর্ষণের ভিডিও করে তিন বছর ধরে ব্ল্যাকমেইল : দরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেয়েটি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছে।  এ কারণে স্কুলের শিক্ষকরা সবাই ওকে যথেষ্ট স্নেহ করেন। তবে রবিউল ইসলাম নামের একজন শিক্ষক তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে পড়ায়। মাঝেমধ্যে আর্থিক সহযোগিতাও করে। এভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়া মেয়েটিকে একদিন ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। ধর্ষণের সেই দৃশ্য ভিডিও করে তা ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টানা তিন বছর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে গর্ভপাতও করানো হয়। একপর্যায়ে মেয়েটি দেখতে পায় যে ওই শিক্ষক আরও কয়েক ছাত্রীকে একই কায়দায় জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক করছে। এবার সাহস করে মুখ খোলে সে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে। একই ধরনের অভিযোগ করে আরও দুই ছাত্রীর পরিবার। এরপরই একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অডিও রেকর্ড ও ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয় ওই লম্পট শিক্ষক। মাদারীপুর শিবচরের উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের এমন গুরুতর অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের তথ্যানুসন্ধানে শিক্ষকদের গোপন ভিডিওর ফাঁদে এখনো বহু ছাত্রী জিম্মিদশায় দিনাতিপাত করার নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সর্বনাশা ফাঁদে সর্বস্ব হারানো ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয়েও অজানা আশঙ্কায় সেসব কথা প্রকাশ করতে পারছে না। পরিবারের সদস্যদের জানালে উল্টো মানসিক নির্যাতনের ভয় তাদের প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়ায়।

সাভার ও কালিয়াকৈর এলাকায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছাত্রী তাদের ওপর শিক্ষকদের যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে উল্টো বিপাকে পড়েছে। এসব বিষয় জানাজানির শঙ্কায় নিজ পরিবারের সদস্যরাই কিশোরী দুজনকে দ্রুত অন্যত্র বিয়েতে বাধ্য করেছে। তাদের পড়ালেখার ইতি ঘটেছে। মনের কোণে আঁকা স্বপ্নগুলোও চুরমার হয়ে গেছে। কিন্তু বিচার হয়নি ধর্ষক শিক্ষকদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ তোলা ছাত্রীদের পড়াশোনা বন্ধ করে তড়িঘড়ি যে কোনো ধরনের পাত্রের সঙ্গে বিয়ের শাস্তি চাপিয়ে দেয় পরিবার।

থামছেই না যৌন নিগ্রহের খড়গ : ধর্মের পবিত্র উপাসনালয় মনে করে সন্তানদের পাঠানো মাদ্রাসায় ছাত্রীরাই নয়, ছাত্ররা পর্যন্ত বিকৃত যৌন ও নির্মম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।  মৌলভীবাজারে কাশীনাথ আলাউদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আয়ুুব আলীকে স্কুলের পাঁচজন ছাত্রের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্ত করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে মাদ্রাসা শিক্ষক বা মসজিদের ইমাম কর্তৃক ছাত্রদের ওপর বলাৎকার চালানোর আড়াই শতাধিক ঘটনা তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত তিন বছরের মধ্যেই এসব অপকর্ম ঘটছে। পিতৃতুল্য কতিপয় শিক্ষক নামধারী ছাত্রীদের ধোঁকা ও গুপ্ত প্রেম-ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক গড়ার সুযোগে ব্যস্ত থাকে। সেই শিক্ষক নামধারী কতিপয় লম্পট, চরিত্রহীন, নরপশু দ্বারাই আজ বিভিন্নভাবে নিগ্রহ হচ্ছে কোমলমতি ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক হেলাল প্রাইভেট পড়ানোর কৌশলে ছাত্রীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে ছবি তোলা ও পরে ওই ছবি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে যৌন নির্যাতন চালাত। বর্বর সেই পান্না মাস্টারের বিরুদ্ধে প্রায় দেড়শ ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে পর্নো ভিডিও তৈরির অভিযোগ প্রমানিত হয়। ছাত্রীর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গেল বছর দিনাজপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ ১৪ জেলায় অন্তত ২১ জন শিক্ষককে গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে। এরপরও থামছে না ছাত্রীদের ওপর যৌন নিগ্রহের খড়গ।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি
'আশুলিয়ার কম্পন নরসিংদীর মাধবদীর আফটারশক'
'আশুলিয়ার কম্পন নরসিংদীর মাধবদীর আফটারশক'
প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে সমাবেশ, সড়ক অবরোধ
জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে সমাবেশ, সড়ক অবরোধ
বাংলাদেশের সমস্যা এক-দুই বছরে সমাধান সম্ভব নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা
বাংলাদেশের সমস্যা এক-দুই বছরে সমাধান সম্ভব নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস
২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস
ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক : ইসি সানাউল্লাহ
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক : ইসি সানাউল্লাহ
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
সর্বশেষ খবর
দিনাজপুরে বাসচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত
দিনাজপুরে বাসচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিয়েতনামে বন্যায় ৫৫ জনের প্রাণহানি
ভিয়েতনামে বন্যায় ৫৫ জনের প্রাণহানি

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোলিং পিচে হেডের ঝড়, ইতিহাস গড়ে সেঞ্চুরি
বোলিং পিচে হেডের ঝড়, ইতিহাস গড়ে সেঞ্চুরি

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বরগুনায় ৪ ভুয়া চিকিৎসক আটক
বরগুনায় ৪ ভুয়া চিকিৎসক আটক

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সুদানে গণহত্যা: আরএসএফের শীর্ষ নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা
সুদানে গণহত্যা: আরএসএফের শীর্ষ নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার আবহাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে
ঢাকার আবহাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে

১৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরাজগঞ্জে অসুস্থ দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা
সিরাজগঞ্জে অসুস্থ দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা
মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইমদাদুল হক মিলনের সাথে শুভসংঘ ঢাবি শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ
ইমদাদুল হক মিলনের সাথে শুভসংঘ ঢাবি শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ

২২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

টেক্টরকে ফিরিয়ে জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ
টেক্টরকে ফিরিয়ে জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা

৩০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

৪১ মিনিট আগে | শোবিজ

শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন সমর্থন হারানোর ঝুঁকি, জেলেনস্কির সতর্কবার্তা
শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন সমর্থন হারানোর ঝুঁকি, জেলেনস্কির সতর্কবার্তা

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'আশুলিয়ার কম্পন নরসিংদীর মাধবদীর আফটারশক'
'আশুলিয়ার কম্পন নরসিংদীর মাধবদীর আফটারশক'

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ

৫১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক
আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক

৫৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঘূর্ণিঝড়ের পর জ্যামাইকায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৬ মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড়ের পর জ্যামাইকায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৬ মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

র‌্যাবের জালে ৩ জন, ৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার
র‌্যাবের জালে ৩ জন, ৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক
দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন
গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন
ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত
আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো
পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে