শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:৪১, রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ আপডেট:

শিক্ষকের লাম্পট্যে ছাত্রীর সর্বনাশ

কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার, ভিকারুননিসার পরিমল চন্দ্র জয়ধর, সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার মতো নৈতিকতা বর্জিত শিক্ষকের লাম্পট্যে বহু ছাত্রীর সর্বনাশ। পাঁচ বছরে সহস্রাধিক ছাত্রী শিক্ষকের লালসার শিকার
সাঈদুর রহমান রিমন
অনলাইন ভার্সন
শিক্ষকের লাম্পট্যে ছাত্রীর সর্বনাশ

কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার, ভিকারুননিসার পরিমল চন্দ্র জয়ধর, সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার মতো নৈতিকতা বর্জিত একশ্রেণির শিক্ষকের লাম্পট্যে বহু ছাত্রীর সর্বনাশ ঘটেছে। গত পাঁচ বছরে সারা দেশে সহস্রাধিক ছাত্রী এসব শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়েছে। একই রকম বর্বরতার ফাঁদে আটকে আছে আরও অসংখ্য ছাত্রী। তাদের কারও শিক্ষাজীবন ধ্বংস হয়ে গেছে, চুরমার হয়েছে সব স্বপ্ন। শিক্ষক নামধারী কিছু লম্পটের হাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাধ্যমিক স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিশু ছাত্রীরা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। সম্প্রতি এক শিক্ষকের ঘৃণ্য লালসায় পঞ্চম শ্রেণির শিশু ছাত্রীর গর্ভবতী হয়ে পড়ার খবর জানা গেছে। একশ্রেণির শিক্ষক একই সময়ে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি করে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে কোনো কোনো শিক্ষক পর্নো ভিডিও তৈরির বাণিজ্যও ফেঁদে বসেছেন।

শিক্ষকতার মতো সম্মান আর মর্যাদাপূর্ণ পেশার আড়ালে যৌন নিপীড়ক হয়ে উঠছেন কিছু শিক্ষক। ফলে আদর্শবান শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন। আর আস্থাহীনতায় ভুগছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, ছেলে-মেয়ে শিক্ষকের কাছে থাকলে তারা নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু শিক্ষক নামধারী কিছু শয়তান এসব কর্মকাণ্ডে  জড়িত থাকায় আস্থাহীন হয়ে পড়েছেন তারা। শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষকতার চাদর মুড়ি দিয়ে যারা যৌন নিপীড়ক হয়ে উঠেছেন তারা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নয়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পিতৃতুল্য শিক্ষকদের এসব জঘন্যতায় ছাত্রীরা যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, তেমনি অভিভাবক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী কমিটিসহ সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। পিতৃতুল্য শিক্ষকদের প্রেমিক হয়ে ওঠার প্রবণতা রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি উঠেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সপ্তাহব্যাপী এক অনুসন্ধানে একশ্রেণির শিক্ষকের বর্বরতার চিত্র বেরিয়ে এসেছে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছেই বেশির ভাগ ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তবে শহুরে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনাগুলোই বেশি প্রকাশ পায়, জানাজানি হয়। শিক্ষকরা পরীক্ষায় ফেল করানো বা সর্বোচ্চ নম্বর পাইয়ে দেওয়া, অভিভাবকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছাত্রীদের হেনস্তা করা, সেমিস্টার ড্রপ দেওয়ানো, বই-খাতার মধ্যে নগ্ন দৃশ্যাবলি, চটি বই বা কল্পিত প্রেমপত্র গুঁজে দিয়ে তা আবিষ্কার করা ইত্যাদি কৌশল ব্যবহার করে ছাত্রীদের ফাঁদে ফেলে। শিক্ষকদের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেও কোনো সুরাহা পান না ছাত্রীরা। বরং নানা কৌশলে অভিযোগকারী ছাত্রীদেরই হেনস্তা করা হয়। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় উল্টো ছাত্রীকেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের উদাহরণ রয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের যৌন হয়রানি প্রমাণিত হলে ‘শিক্ষকের শাস্তি’ হিসেবে বড়জোর ক্লাসের দায়িত্ব পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় কোনোরকম দোষ না থাকলেও অভিযোগকারী ছাত্রীকে ভর্ৎসনা করা হয় এবং তার অভিভাবকদেরও অপমান অপদস্থ করাসহ নানা পর্যায়ে সতর্ক করার ঘটনা ঘটে। ফলে অভিযোগকারী ছাত্রী স্কুল ও নিজ গৃহে প্রচ  মানসিক চাপের শিকার হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার শিক্ষাজীবনেরও ইতি ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার মধ্য দিয়েই নিজের সব গ্লানির চিরসমাপ্তি ঘটায় ভুক্তভোগী ছাত্রী।

সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়েরের ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে হাত-পা বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার নৃশংস হত্যাকা  নিয়ে সোনাগাজীর মানুষজন বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে, তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমসমূহে ছড়িয়ে পড়েছে ধিক্কার, নিন্দা, প্রতিবাদের ছড়াছড়ি। এরই মধ্যে ফেসবুকের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীদের করুণ আহাজারি। ‘শেখ হাসিনা হল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’ নামে একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাস এখনো পাতায় পাতায় ঘুরছে-ফিরছে। পোস্টটি হচ্ছে ‘মাননীয় প্রভোস্ট স্যার, আমাদের বাঁচান। কয়েক দিন আগে আমাদের হলে যৌন নির্যাতনবিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানেই (শেখ হাসিনা হলে) আমাদের হলের একজন হাউস টিউটর স্যারের দ্বারা হলের ছাত্রীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ওই শিক্ষকের নাম আমজাদ হোসেন। তিনি শুধু আমাকে না, হলের বিভিন্ন ছাত্রীকে নির্যাতন করছেন। হলের ছাত্রীদেরকে তার রুমে নিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলেন, নিপীড়ন করেন। যেটা আমরা শোনার জন্য অভ্যস্ত নই। স্যার আপনারও মা, বোন আছে, মেয়ে আছে। তাদের কথা চিন্তা করে হলেও আমাদেরকে রক্ষা করেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের উল্লিখিত হাউস টিউটর (আবাসিক শিক্ষক) দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে নির্যাতিতা ছাত্রীরা। নিজের সামাজিক অবস্থান, মান-সম্মান আর শিক্ষাজীবনের কথা চিন্তা করে নির্যাতিতা ছাত্রীরা নীরব থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক এতটাই প্রতাপশালী যে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন পার করা কঠিন বলেও মনে করেন তারা। এ কারণেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রীরা তাদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন। ইদানীং ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পাতা খুললেই শিক্ষক-ছাত্রীর অশালীন দৃশ্যাবলি, রগরগে যৌনতার পর্নো ভিডিও অহরহ চোখে পড়ে। এসব দৃশ্যের ভিডিওচিত্র পুঁজি করেই ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করে দিনের পর দিন যৌন নিপীড়ন চালানো হয় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা হাতানোরও নজির রয়েছে।

অনৈতিক সম্পর্ক এবং পর্নো ভিডিওর বাণিজ্য : ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের পর্নো ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতানোর অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হচ্ছে, ইয়াসিন আরাফাত ও সাইফুল ইসলাম। র‌্যাব জানায়, শিক্ষক নামধারী এ দুজন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতো। সেই সময়ের দৃশ্য গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করা হতো। পরে এসব ভিডিও দেখিয়ে তাদের যখন তখন গোপন মেলামেশা ও পর্নোগ্রাফি  তৈরিতে বাধ্য করত। অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াসিন আরাফাত ইংরেজিতে অনার্স করে একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগ দেন। কয়েক মাস চাকরির পর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে একটি কিন্ডারগার্টেনে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে সে চাকরি পেলেও একই কারণে তা হারাতে হয়। শেষে সে গৃহশিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থী পড়ানো শুরু করে। অপর আসামি সাইফুল ইসলাম বেসরকারি স্কুলে হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। দেড় বছর চাকরির পর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় তাকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এরপর সে আরেকটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকরি পেলেও একই কারণে সেখানেও বরখাস্ত হতে হয় তাকে। সর্বশেষ সে কিন্ডারগার্টেনে চাকরির পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতা করত।

এক স্কুলেই ৩০ শিশু ধর্ষণ : লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একজন খন্ডকালীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী তোফায়েল আহমেদ নামের ওই শিক্ষকের বিচার দাবি তুলতেই প্রভাবশালী একটি চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সুযোগেই অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ কৌশলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমণী মোহন ইউনিয়নের করাতিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন বছর আগে খ কালীন শিক্ষক নিযুক্ত হন তোফায়েল আহমেদ। তার বাড়ি সদর উপজেলার মাছিমনগর গ্রামে। তবে স্কুলসংলগ্ন চররমণী মোহন এলাকার হাওলাদার বাড়িতে তিনি  লজিং থাকতেন। স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করতেন এবং প্রাইভেটও পড়াতেন। প্রাইভেট পড়ানো শেষে একেক দিন একেক ছাত্রীকে অপেক্ষায় রাখতেন এবং নির্জনতার সুযোগ নিয়ে যৌন নির্যাতন চালাতেন। পরে নির্যাতিত ছাত্রীদের হাতে কোরআন-হাদিস ধরিয়ে এসব ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শপথ করাতেন।

ধর্মান্ধতার অজানা শঙ্কায় নির্যাতিতা ছাত্রীরা কেউ কারও কাছে যৌন হয়রানির বিষয়টি প্রকাশ করত না। কিন্তু সম্প্রতি এক ছাত্রী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ওই ধর্ষক শিক্ষক তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলতেই একের পর এক ছাত্রী অভিন্ন অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীদের অভিভাবকরা অন্তত ত্রিশ জন শিশু ছাত্রীর ওপর যৌন হয়রানি চালানোর অভিযোগ তুলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার কঠোর বিচার দাবি করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক গাঢাকা দেওয়ায় এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

কৌশল হিসেবে বিয়ে, তিন মাসেই তালাক : কালিগঞ্জের মোহাম্মদনগর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম গাজী (৩৮) একই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল হিসেবে বিয়ে করেন এবং কিছুদিন পরই তালাকনামা আদায় করে নিয়েছেন। তিন সন্তানের জনক ওই লম্পট শিক্ষক ইব্রাহীম গাজী কালিগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত হারান গাজীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী মাছুরাকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে সাতক্ষীরা কোর্টে নিয়ে বিয়ে করে বিষয়টি গোপন রেখে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ পেলে ওই শিক্ষকের সহযোগী হিসেবে পরিচিত কতিপয় মাতব্বর শ্রেণির লোকজন ৫০ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক তালাকনামায় মেয়েটির স্বাক্ষর আদায় করে নেন। তিন মাসের কথিত বিয়েতে ছাত্রীটি তার শিক্ষকের কাছ থেকে মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়নি। পেয়েছে শুধু যৌন হয়রানি। একইভাবে ছাত্রীদের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে কথিত বিয়ের নামে সংসার গড়ে তোলা এবং ২/৩ মাস পরে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করার অপকর্ম করেছেন রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার শিক্ষক ইয়াসিন আরাফাত। এক ছাত্রীকে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে ডিভোর্স দেন এবং ছয় মাস আগে আরেক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন আরাফাত। সম্প্রতি তাকেও ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। যাদের বিয়ে করতেন তাদের সবার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করতেন। ডিভোর্সের পর তার কাছে নগ্ন ভিডিও আছে দাবি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। বিয়ের ছলনায় এ পর্যন্ত তিনি পাঁচজন ছাত্রীর পর্নো ভিডিও করেছেন।

ধর্ষণের ভিডিও করে তিন বছর ধরে ব্ল্যাকমেইল : দরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেয়েটি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছে।  এ কারণে স্কুলের শিক্ষকরা সবাই ওকে যথেষ্ট স্নেহ করেন। তবে রবিউল ইসলাম নামের একজন শিক্ষক তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে পড়ায়। মাঝেমধ্যে আর্থিক সহযোগিতাও করে। এভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়া মেয়েটিকে একদিন ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। ধর্ষণের সেই দৃশ্য ভিডিও করে তা ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টানা তিন বছর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে গর্ভপাতও করানো হয়। একপর্যায়ে মেয়েটি দেখতে পায় যে ওই শিক্ষক আরও কয়েক ছাত্রীকে একই কায়দায় জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক করছে। এবার সাহস করে মুখ খোলে সে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে। একই ধরনের অভিযোগ করে আরও দুই ছাত্রীর পরিবার। এরপরই একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অডিও রেকর্ড ও ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয় ওই লম্পট শিক্ষক। মাদারীপুর শিবচরের উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের এমন গুরুতর অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের তথ্যানুসন্ধানে শিক্ষকদের গোপন ভিডিওর ফাঁদে এখনো বহু ছাত্রী জিম্মিদশায় দিনাতিপাত করার নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সর্বনাশা ফাঁদে সর্বস্ব হারানো ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয়েও অজানা আশঙ্কায় সেসব কথা প্রকাশ করতে পারছে না। পরিবারের সদস্যদের জানালে উল্টো মানসিক নির্যাতনের ভয় তাদের প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়ায়।

সাভার ও কালিয়াকৈর এলাকায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছাত্রী তাদের ওপর শিক্ষকদের যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে উল্টো বিপাকে পড়েছে। এসব বিষয় জানাজানির শঙ্কায় নিজ পরিবারের সদস্যরাই কিশোরী দুজনকে দ্রুত অন্যত্র বিয়েতে বাধ্য করেছে। তাদের পড়ালেখার ইতি ঘটেছে। মনের কোণে আঁকা স্বপ্নগুলোও চুরমার হয়ে গেছে। কিন্তু বিচার হয়নি ধর্ষক শিক্ষকদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ তোলা ছাত্রীদের পড়াশোনা বন্ধ করে তড়িঘড়ি যে কোনো ধরনের পাত্রের সঙ্গে বিয়ের শাস্তি চাপিয়ে দেয় পরিবার।

থামছেই না যৌন নিগ্রহের খড়গ : ধর্মের পবিত্র উপাসনালয় মনে করে সন্তানদের পাঠানো মাদ্রাসায় ছাত্রীরাই নয়, ছাত্ররা পর্যন্ত বিকৃত যৌন ও নির্মম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।  মৌলভীবাজারে কাশীনাথ আলাউদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আয়ুুব আলীকে স্কুলের পাঁচজন ছাত্রের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্ত করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে মাদ্রাসা শিক্ষক বা মসজিদের ইমাম কর্তৃক ছাত্রদের ওপর বলাৎকার চালানোর আড়াই শতাধিক ঘটনা তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত তিন বছরের মধ্যেই এসব অপকর্ম ঘটছে। পিতৃতুল্য কতিপয় শিক্ষক নামধারী ছাত্রীদের ধোঁকা ও গুপ্ত প্রেম-ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক গড়ার সুযোগে ব্যস্ত থাকে। সেই শিক্ষক নামধারী কতিপয় লম্পট, চরিত্রহীন, নরপশু দ্বারাই আজ বিভিন্নভাবে নিগ্রহ হচ্ছে কোমলমতি ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক হেলাল প্রাইভেট পড়ানোর কৌশলে ছাত্রীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে ছবি তোলা ও পরে ওই ছবি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে যৌন নির্যাতন চালাত। বর্বর সেই পান্না মাস্টারের বিরুদ্ধে প্রায় দেড়শ ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে পর্নো ভিডিও তৈরির অভিযোগ প্রমানিত হয়। ছাত্রীর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গেল বছর দিনাজপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ ১৪ জেলায় অন্তত ২১ জন শিক্ষককে গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে। এরপরও থামছে না ছাত্রীদের ওপর যৌন নিগ্রহের খড়গ।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
'২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার'
'২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার'
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন কাল
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন কাল
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা
লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা
শাসক নয়, সেবক হয়ে উঠার রাজনীতি করুন: শিশির মনির
শাসক নয়, সেবক হয়ে উঠার রাজনীতি করুন: শিশির মনির
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলল অন্তর্বর্তী সরকার, জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান
রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলল অন্তর্বর্তী সরকার, জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭১২
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭১২
সর্বশেষ খবর
ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব

৪১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?
ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান
মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?

২ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!
গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়
ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫
ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল
হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক
সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা
কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি

৪ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সমগ্র হাটহাজারী শান্তি-সম্প্রীতির চারণভূমি হয়ে থাকবে : মীর হেলাল
সমগ্র হাটহাজারী শান্তি-সম্প্রীতির চারণভূমি হয়ে থাকবে : মীর হেলাল

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমরা বিশ্বের এক নম্বরে থাকতে চাই: স্পেন কোচ
আমরা বিশ্বের এক নম্বরে থাকতে চাই: স্পেন কোচ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি
রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার বাণিজ্য সহযোগীদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে
রাশিয়ার বাণিজ্য সহযোগীদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার'
'২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার'

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি
বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামায়াত পিআর চায় আর বিএনপি ফেয়ার ইলেকশন: মোশারফ হোসেন
জামায়াত পিআর চায় আর বিএনপি ফেয়ার ইলেকশন: মোশারফ হোসেন

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয় : বিএনপি
অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয় : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুন সন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুন সন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন

সম্পাদকীয়

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স

পূর্ব-পশ্চিম

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস

প্রথম পৃষ্ঠা

মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ
মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত
আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

উচ্ছ্বসিত বিজরী...
উচ্ছ্বসিত বিজরী...

শোবিজ

সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

শিল্প বাণিজ্য

পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় সেনাপ্রধানের
পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় সেনাপ্রধানের

পূর্ব-পশ্চিম

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

ইরানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে ক্লাউড সিডিং
ইরানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে ক্লাউড সিডিং

পূর্ব-পশ্চিম

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন

পূর্ব-পশ্চিম

প্রাঙ্গণেমোরের শেষের কবিতা
প্রাঙ্গণেমোরের শেষের কবিতা

শোবিজ

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

করপোরেট কর্নার
করপোরেট কর্নার

অর্থ-বাজার-বাণিজ্য

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন

সম্পাদকীয়