শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:৪১, রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ আপডেট:

শিক্ষকের লাম্পট্যে ছাত্রীর সর্বনাশ

কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার, ভিকারুননিসার পরিমল চন্দ্র জয়ধর, সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার মতো নৈতিকতা বর্জিত শিক্ষকের লাম্পট্যে বহু ছাত্রীর সর্বনাশ। পাঁচ বছরে সহস্রাধিক ছাত্রী শিক্ষকের লালসার শিকার
সাঈদুর রহমান রিমন
অনলাইন ভার্সন
শিক্ষকের লাম্পট্যে ছাত্রীর সর্বনাশ

কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার, ভিকারুননিসার পরিমল চন্দ্র জয়ধর, সোনাগাজী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার মতো নৈতিকতা বর্জিত একশ্রেণির শিক্ষকের লাম্পট্যে বহু ছাত্রীর সর্বনাশ ঘটেছে। গত পাঁচ বছরে সারা দেশে সহস্রাধিক ছাত্রী এসব শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়েছে। একই রকম বর্বরতার ফাঁদে আটকে আছে আরও অসংখ্য ছাত্রী। তাদের কারও শিক্ষাজীবন ধ্বংস হয়ে গেছে, চুরমার হয়েছে সব স্বপ্ন। শিক্ষক নামধারী কিছু লম্পটের হাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাধ্যমিক স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিশু ছাত্রীরা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। সম্প্রতি এক শিক্ষকের ঘৃণ্য লালসায় পঞ্চম শ্রেণির শিশু ছাত্রীর গর্ভবতী হয়ে পড়ার খবর জানা গেছে। একশ্রেণির শিক্ষক একই সময়ে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি করে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে কোনো কোনো শিক্ষক পর্নো ভিডিও তৈরির বাণিজ্যও ফেঁদে বসেছেন।

শিক্ষকতার মতো সম্মান আর মর্যাদাপূর্ণ পেশার আড়ালে যৌন নিপীড়ক হয়ে উঠছেন কিছু শিক্ষক। ফলে আদর্শবান শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন। আর আস্থাহীনতায় ভুগছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, ছেলে-মেয়ে শিক্ষকের কাছে থাকলে তারা নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু শিক্ষক নামধারী কিছু শয়তান এসব কর্মকাণ্ডে  জড়িত থাকায় আস্থাহীন হয়ে পড়েছেন তারা। শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষকতার চাদর মুড়ি দিয়ে যারা যৌন নিপীড়ক হয়ে উঠেছেন তারা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নয়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পিতৃতুল্য শিক্ষকদের এসব জঘন্যতায় ছাত্রীরা যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, তেমনি অভিভাবক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী কমিটিসহ সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। পিতৃতুল্য শিক্ষকদের প্রেমিক হয়ে ওঠার প্রবণতা রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি উঠেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সপ্তাহব্যাপী এক অনুসন্ধানে একশ্রেণির শিক্ষকের বর্বরতার চিত্র বেরিয়ে এসেছে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছেই বেশির ভাগ ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তবে শহুরে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনাগুলোই বেশি প্রকাশ পায়, জানাজানি হয়। শিক্ষকরা পরীক্ষায় ফেল করানো বা সর্বোচ্চ নম্বর পাইয়ে দেওয়া, অভিভাবকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছাত্রীদের হেনস্তা করা, সেমিস্টার ড্রপ দেওয়ানো, বই-খাতার মধ্যে নগ্ন দৃশ্যাবলি, চটি বই বা কল্পিত প্রেমপত্র গুঁজে দিয়ে তা আবিষ্কার করা ইত্যাদি কৌশল ব্যবহার করে ছাত্রীদের ফাঁদে ফেলে। শিক্ষকদের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেও কোনো সুরাহা পান না ছাত্রীরা। বরং নানা কৌশলে অভিযোগকারী ছাত্রীদেরই হেনস্তা করা হয়। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় উল্টো ছাত্রীকেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের উদাহরণ রয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের যৌন হয়রানি প্রমাণিত হলে ‘শিক্ষকের শাস্তি’ হিসেবে বড়জোর ক্লাসের দায়িত্ব পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় কোনোরকম দোষ না থাকলেও অভিযোগকারী ছাত্রীকে ভর্ৎসনা করা হয় এবং তার অভিভাবকদেরও অপমান অপদস্থ করাসহ নানা পর্যায়ে সতর্ক করার ঘটনা ঘটে। ফলে অভিযোগকারী ছাত্রী স্কুল ও নিজ গৃহে প্রচ  মানসিক চাপের শিকার হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার শিক্ষাজীবনেরও ইতি ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার মধ্য দিয়েই নিজের সব গ্লানির চিরসমাপ্তি ঘটায় ভুক্তভোগী ছাত্রী।

সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়েরের ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে হাত-পা বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার নৃশংস হত্যাকা  নিয়ে সোনাগাজীর মানুষজন বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে, তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমসমূহে ছড়িয়ে পড়েছে ধিক্কার, নিন্দা, প্রতিবাদের ছড়াছড়ি। এরই মধ্যে ফেসবুকের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীদের করুণ আহাজারি। ‘শেখ হাসিনা হল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’ নামে একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাস এখনো পাতায় পাতায় ঘুরছে-ফিরছে। পোস্টটি হচ্ছে ‘মাননীয় প্রভোস্ট স্যার, আমাদের বাঁচান। কয়েক দিন আগে আমাদের হলে যৌন নির্যাতনবিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানেই (শেখ হাসিনা হলে) আমাদের হলের একজন হাউস টিউটর স্যারের দ্বারা হলের ছাত্রীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ওই শিক্ষকের নাম আমজাদ হোসেন। তিনি শুধু আমাকে না, হলের বিভিন্ন ছাত্রীকে নির্যাতন করছেন। হলের ছাত্রীদেরকে তার রুমে নিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলেন, নিপীড়ন করেন। যেটা আমরা শোনার জন্য অভ্যস্ত নই। স্যার আপনারও মা, বোন আছে, মেয়ে আছে। তাদের কথা চিন্তা করে হলেও আমাদেরকে রক্ষা করেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের উল্লিখিত হাউস টিউটর (আবাসিক শিক্ষক) দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে নির্যাতিতা ছাত্রীরা। নিজের সামাজিক অবস্থান, মান-সম্মান আর শিক্ষাজীবনের কথা চিন্তা করে নির্যাতিতা ছাত্রীরা নীরব থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক এতটাই প্রতাপশালী যে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন পার করা কঠিন বলেও মনে করেন তারা। এ কারণেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রীরা তাদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন। ইদানীং ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পাতা খুললেই শিক্ষক-ছাত্রীর অশালীন দৃশ্যাবলি, রগরগে যৌনতার পর্নো ভিডিও অহরহ চোখে পড়ে। এসব দৃশ্যের ভিডিওচিত্র পুঁজি করেই ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করে দিনের পর দিন যৌন নিপীড়ন চালানো হয় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা হাতানোরও নজির রয়েছে।

অনৈতিক সম্পর্ক এবং পর্নো ভিডিওর বাণিজ্য : ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের পর্নো ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতানোর অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হচ্ছে, ইয়াসিন আরাফাত ও সাইফুল ইসলাম। র‌্যাব জানায়, শিক্ষক নামধারী এ দুজন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতো। সেই সময়ের দৃশ্য গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করা হতো। পরে এসব ভিডিও দেখিয়ে তাদের যখন তখন গোপন মেলামেশা ও পর্নোগ্রাফি  তৈরিতে বাধ্য করত। অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াসিন আরাফাত ইংরেজিতে অনার্স করে একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগ দেন। কয়েক মাস চাকরির পর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে একটি কিন্ডারগার্টেনে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে সে চাকরি পেলেও একই কারণে তা হারাতে হয়। শেষে সে গৃহশিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থী পড়ানো শুরু করে। অপর আসামি সাইফুল ইসলাম বেসরকারি স্কুলে হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। দেড় বছর চাকরির পর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় তাকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এরপর সে আরেকটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকরি পেলেও একই কারণে সেখানেও বরখাস্ত হতে হয় তাকে। সর্বশেষ সে কিন্ডারগার্টেনে চাকরির পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতা করত।

এক স্কুলেই ৩০ শিশু ধর্ষণ : লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একজন খন্ডকালীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী তোফায়েল আহমেদ নামের ওই শিক্ষকের বিচার দাবি তুলতেই প্রভাবশালী একটি চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সুযোগেই অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ কৌশলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমণী মোহন ইউনিয়নের করাতিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন বছর আগে খ কালীন শিক্ষক নিযুক্ত হন তোফায়েল আহমেদ। তার বাড়ি সদর উপজেলার মাছিমনগর গ্রামে। তবে স্কুলসংলগ্ন চররমণী মোহন এলাকার হাওলাদার বাড়িতে তিনি  লজিং থাকতেন। স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করতেন এবং প্রাইভেটও পড়াতেন। প্রাইভেট পড়ানো শেষে একেক দিন একেক ছাত্রীকে অপেক্ষায় রাখতেন এবং নির্জনতার সুযোগ নিয়ে যৌন নির্যাতন চালাতেন। পরে নির্যাতিত ছাত্রীদের হাতে কোরআন-হাদিস ধরিয়ে এসব ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শপথ করাতেন।

ধর্মান্ধতার অজানা শঙ্কায় নির্যাতিতা ছাত্রীরা কেউ কারও কাছে যৌন হয়রানির বিষয়টি প্রকাশ করত না। কিন্তু সম্প্রতি এক ছাত্রী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ওই ধর্ষক শিক্ষক তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলতেই একের পর এক ছাত্রী অভিন্ন অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীদের অভিভাবকরা অন্তত ত্রিশ জন শিশু ছাত্রীর ওপর যৌন হয়রানি চালানোর অভিযোগ তুলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার কঠোর বিচার দাবি করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক গাঢাকা দেওয়ায় এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

কৌশল হিসেবে বিয়ে, তিন মাসেই তালাক : কালিগঞ্জের মোহাম্মদনগর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম গাজী (৩৮) একই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল হিসেবে বিয়ে করেন এবং কিছুদিন পরই তালাকনামা আদায় করে নিয়েছেন। তিন সন্তানের জনক ওই লম্পট শিক্ষক ইব্রাহীম গাজী কালিগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত হারান গাজীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী মাছুরাকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে সাতক্ষীরা কোর্টে নিয়ে বিয়ে করে বিষয়টি গোপন রেখে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ পেলে ওই শিক্ষকের সহযোগী হিসেবে পরিচিত কতিপয় মাতব্বর শ্রেণির লোকজন ৫০ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক তালাকনামায় মেয়েটির স্বাক্ষর আদায় করে নেন। তিন মাসের কথিত বিয়েতে ছাত্রীটি তার শিক্ষকের কাছ থেকে মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়নি। পেয়েছে শুধু যৌন হয়রানি। একইভাবে ছাত্রীদের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে কথিত বিয়ের নামে সংসার গড়ে তোলা এবং ২/৩ মাস পরে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করার অপকর্ম করেছেন রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার শিক্ষক ইয়াসিন আরাফাত। এক ছাত্রীকে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে ডিভোর্স দেন এবং ছয় মাস আগে আরেক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন আরাফাত। সম্প্রতি তাকেও ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। যাদের বিয়ে করতেন তাদের সবার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করতেন। ডিভোর্সের পর তার কাছে নগ্ন ভিডিও আছে দাবি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। বিয়ের ছলনায় এ পর্যন্ত তিনি পাঁচজন ছাত্রীর পর্নো ভিডিও করেছেন।

ধর্ষণের ভিডিও করে তিন বছর ধরে ব্ল্যাকমেইল : দরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেয়েটি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছে।  এ কারণে স্কুলের শিক্ষকরা সবাই ওকে যথেষ্ট স্নেহ করেন। তবে রবিউল ইসলাম নামের একজন শিক্ষক তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে পড়ায়। মাঝেমধ্যে আর্থিক সহযোগিতাও করে। এভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়া মেয়েটিকে একদিন ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। ধর্ষণের সেই দৃশ্য ভিডিও করে তা ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টানা তিন বছর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে গর্ভপাতও করানো হয়। একপর্যায়ে মেয়েটি দেখতে পায় যে ওই শিক্ষক আরও কয়েক ছাত্রীকে একই কায়দায় জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক করছে। এবার সাহস করে মুখ খোলে সে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে। একই ধরনের অভিযোগ করে আরও দুই ছাত্রীর পরিবার। এরপরই একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অডিও রেকর্ড ও ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয় ওই লম্পট শিক্ষক। মাদারীপুর শিবচরের উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের এমন গুরুতর অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের তথ্যানুসন্ধানে শিক্ষকদের গোপন ভিডিওর ফাঁদে এখনো বহু ছাত্রী জিম্মিদশায় দিনাতিপাত করার নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সর্বনাশা ফাঁদে সর্বস্ব হারানো ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয়েও অজানা আশঙ্কায় সেসব কথা প্রকাশ করতে পারছে না। পরিবারের সদস্যদের জানালে উল্টো মানসিক নির্যাতনের ভয় তাদের প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়ায়।

সাভার ও কালিয়াকৈর এলাকায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছাত্রী তাদের ওপর শিক্ষকদের যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে উল্টো বিপাকে পড়েছে। এসব বিষয় জানাজানির শঙ্কায় নিজ পরিবারের সদস্যরাই কিশোরী দুজনকে দ্রুত অন্যত্র বিয়েতে বাধ্য করেছে। তাদের পড়ালেখার ইতি ঘটেছে। মনের কোণে আঁকা স্বপ্নগুলোও চুরমার হয়ে গেছে। কিন্তু বিচার হয়নি ধর্ষক শিক্ষকদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ তোলা ছাত্রীদের পড়াশোনা বন্ধ করে তড়িঘড়ি যে কোনো ধরনের পাত্রের সঙ্গে বিয়ের শাস্তি চাপিয়ে দেয় পরিবার।

থামছেই না যৌন নিগ্রহের খড়গ : ধর্মের পবিত্র উপাসনালয় মনে করে সন্তানদের পাঠানো মাদ্রাসায় ছাত্রীরাই নয়, ছাত্ররা পর্যন্ত বিকৃত যৌন ও নির্মম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।  মৌলভীবাজারে কাশীনাথ আলাউদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আয়ুুব আলীকে স্কুলের পাঁচজন ছাত্রের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্ত করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে মাদ্রাসা শিক্ষক বা মসজিদের ইমাম কর্তৃক ছাত্রদের ওপর বলাৎকার চালানোর আড়াই শতাধিক ঘটনা তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত তিন বছরের মধ্যেই এসব অপকর্ম ঘটছে। পিতৃতুল্য কতিপয় শিক্ষক নামধারী ছাত্রীদের ধোঁকা ও গুপ্ত প্রেম-ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক গড়ার সুযোগে ব্যস্ত থাকে। সেই শিক্ষক নামধারী কতিপয় লম্পট, চরিত্রহীন, নরপশু দ্বারাই আজ বিভিন্নভাবে নিগ্রহ হচ্ছে কোমলমতি ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক হেলাল প্রাইভেট পড়ানোর কৌশলে ছাত্রীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে ছবি তোলা ও পরে ওই ছবি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে যৌন নির্যাতন চালাত। বর্বর সেই পান্না মাস্টারের বিরুদ্ধে প্রায় দেড়শ ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে পর্নো ভিডিও তৈরির অভিযোগ প্রমানিত হয়। ছাত্রীর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গেল বছর দিনাজপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ ১৪ জেলায় অন্তত ২১ জন শিক্ষককে গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে। এরপরও থামছে না ছাত্রীদের ওপর যৌন নিগ্রহের খড়গ।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
‌‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি’
‌‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি’
বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে গুণগত পরিবর্তন আসবে
জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে গুণগত পরিবর্তন আসবে
দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড ও ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড ও ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধন ১০ দিনের রিমান্ডে
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধন ১০ দিনের রিমান্ডে
মানবাধিকার রাষ্ট্রীয় স্বৈরাচার থেকে সুরক্ষা দেয়: কাদের গনি চৌধুরী
মানবাধিকার রাষ্ট্রীয় স্বৈরাচার থেকে সুরক্ষা দেয়: কাদের গনি চৌধুরী
৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ, সতর্ক থাকার আহ্বান পুলিশের
৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ, সতর্ক থাকার আহ্বান পুলিশের
সিআরআইয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ : জয়-পুতুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
সিআরআইয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ : জয়-পুতুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
কৃষি গবেষণার মূল লক্ষ্য হোক কৃষকের কল্যাণ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কৃষি গবেষণার মূল লক্ষ্য হোক কৃষকের কল্যাণ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা জেলার আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নবায়নের সময় নির্ধারণ
ঢাকা জেলার আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নবায়নের সময় নির্ধারণ
সর্বশেষ খবর
উগ্রতা ঘৃণিত, কোমলতা রহমতপ্রাপ্ত
উগ্রতা ঘৃণিত, কোমলতা রহমতপ্রাপ্ত

১৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত
রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১
লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার
বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপির গণজোয়ারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : নবীউল্লাহ নবী
বিএনপির গণজোয়ারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : নবীউল্লাহ নবী

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএসএফের ছোঁড়া গ্রেনেডে সীমান্তে আতঙ্ক, বিজিবির প্রতিবাদ
বিএসএফের ছোঁড়া গ্রেনেডে সীমান্তে আতঙ্ক, বিজিবির প্রতিবাদ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‌‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি’
‌‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নারীর অধিকার ও গণতন্ত্রে ৩১ দফা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমা রহমান
নারীর অধিকার ও গণতন্ত্রে ৩১ দফা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমা রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে পিঠা উৎসব
বাগেরহাটে পিঠা উৎসব

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বগুড়ায় ব্যবসায়ী খুন, স্ত্রী ও খালাতো ভাই গ্রেফতার
বগুড়ায় ব্যবসায়ী খুন, স্ত্রী ও খালাতো ভাই গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি
পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কবিরহাটে ৬ জন নিহতের ঘটনায় মামলা, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
কবিরহাটে ৬ জন নিহতের ঘটনায় মামলা, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে আহত ১৬
শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে আহত ১৬

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি : তৈয়্যব
গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি : তৈয়্যব

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন
যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা
ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে গুণগত পরিবর্তন আসবে
জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে গুণগত পরিবর্তন আসবে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ
মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প
মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল
পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি
বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত
গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত

প্রথম পৃষ্ঠা

সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার
সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল
পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রথম পৃষ্ঠা

তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর
তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর

প্রথম পৃষ্ঠা

দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো
দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ
মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী
স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী

দেশগ্রাম

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি

নগর জীবন

অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

দেশগ্রাম

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত

নগর জীবন

টিকটকে প্রেম তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
টিকটকে প্রেম তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ
পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ

দেশগ্রাম

রাজশাহীতে ১০ মাসে ২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ
রাজশাহীতে ১০ মাসে ২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০
ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০

পূর্ব-পশ্চিম

জকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট ২২ ডিসেম্বর
জকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট ২২ ডিসেম্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই
নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই

নগর জীবন

সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক
সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক

পেছনের পৃষ্ঠা

গণসংহতির ৯৩ আসনে প্রার্থী যারা
গণসংহতির ৯৩ আসনে প্রার্থী যারা

পেছনের পৃষ্ঠা

পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে দুবলার চরে শেষ হলো রাস উৎসব
পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে দুবলার চরে শেষ হলো রাস উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর

প্রথম পৃষ্ঠা

বৃক্ষরোপণ ও পোনা অবমুক্তকরণ
বৃক্ষরোপণ ও পোনা অবমুক্তকরণ

দেশগ্রাম

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার

পূর্ব-পশ্চিম

সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন
সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন

রকমারি নগর পরিক্রমা

নিবন্ধন পেতে ইসির সামনে অনশনে ‘আমজনতা’র তারেক
নিবন্ধন পেতে ইসির সামনে অনশনে ‘আমজনতা’র তারেক

নগর জীবন

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

নগর জীবন

বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত
বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত

নগর জীবন

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল

নগর জীবন