২০ এপ্রিল, ২০১৯ ২২:৪০

মোকাব্বির খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোকাব্বির খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

ফাইল ছবি

দলীয় অনুমোদন ছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় জন্য মোকাব্বির খানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে গণফেরাম। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। গত ২ এপ্রিল সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন তিনি।

শনিবার গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে মোকাব্বির খানের বিরুদ্ধে এই কারণ দর্শানো নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এতে বলা হয়, সভায় এক সিদ্ধান্তে গঠনতন্ত্রের ৮ম ধারা মোতাবেক দলের লক্ষ্য, আদর্শ, নীতি, গঠনতন্ত্র, কর্মসূচি পরিপন্থী কাজের জন্য মোকাব্বির খানকে কারণ দার্শনো নোটিশ জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। দলের মিডিয়া সেলের লতিফুল বারী স্বাক্ষরিত দলীয়বি জ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু।  

রিপোর্টে বলা হয়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন ও সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে, নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু সরকার ৩০ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠিত নির্বাচন পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় ২৯ ডিসেম্বরের রাতেই সম্পন্ন করে। চরম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিরোধী দলকে নির্বাচনের মাঠে নামতে না দিয়ে এবং ভোটারদের ভোট দিতে না দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সেই নির্বাচনকে প্রত্যাখান করে গণশুনানী অনুষ্ঠান, প্রতিবাদ সভা-মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে, যা অব্যাহত আছে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়, প্রহসনের সংসদ নির্বাচনের কারণে বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনগণের চরম অনাস্থা সৃষ্টি হয়। তার প্রমাণ ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন। সরকার শত চেষ্টা করেও জনগণকে ভোট কেন্দ্রে নিতে পারেনি, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত। দেশে চলছে চরম রাজনৈতিক হয়রানি, সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠানে করছে নানা রকম বাধা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রদান। চলছে ডিজিটাল আইনের চরম অপপ্রয়োগ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুটপাট ও অব্যবস্থার কারণে দেওলিয়া প্রায়, পুঁজি পাচারের ক্ষত বেড়েই চলছে, শেয়ার বাজার ধ্বংস প্রায়, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার চরম অবনতি, প্রতিকার বিহীনভাবে বেড়ে চলছে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মফিজুল ইসলাম খান কামাল, এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, রেজা বিকরিয়া, মেজর জেনারেল অব. আ ম সা আ আমীন, এ্যাড. এস এম আলতাফ হোসেন, এ্যাড.জগলুল হায়দার আফ্রিক, এ্যাড. মোহসীন রশীদ, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক, এ্যাড. সগীর আনোয়ার, মোশতাক আহমেদ, আইয়ুব খান ফারুক, রফিকুল ইসলাম পথিক, হারুনুর রশীদ তালুকদার, খান সিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, আব্দুল হাছিব চৌধুরী, এ্যাড. জানে আলম, ফরিদা ইয়াছমীন, এ্যাড. সেলিম আকবর, আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।  


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর