১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০২:৩৩

‘মুক্তিযুদ্ধকালে ত্রিপুরার মানুষ বাংলাদেশিদের জন্য মনের দুয়ার খুলে দিয়েছিল’

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

‘মুক্তিযুদ্ধকালে ত্রিপুরার মানুষ বাংলাদেশিদের জন্য মনের দুয়ার খুলে দিয়েছিল’

ত্রিপুরায় চলচ্চিত্র উৎসবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষ শুধু সেই রাজ্যের নয়, সমগ্র বাংলাদেশবাসীদের জন্য মনের দুয়ার খুলে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার লোকসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ। আর সেই রাজ্যে বাংলাদেশি শরণার্থীর সংখ্যাও ছিল ১৫ লাখ। বাংলাদেশ তাই সমগ্র ভারতের সাথে ত্রিপুরার অবদানের কথাও চিরদিন স্মরণ করবে। 

রবিবার সন্ধ্যায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মিলনায়তনে প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-আগরতলা'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক সীমানায় বিভক্ত হলেও বাংলাদেশ ও আগরতলার মানুষ একই নদীর অববাহিকায় বেড়ে ওঠা, একই পাখির কলতানে মুগ্ধ। দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বও তাই সীমানা ছাড়িয়ে।’

চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র মানুষের হৃদয়কে আন্দোলিত করে, হাসায়, কাঁদায়, স্বপ্ন দেখায়, জীবনের নতুন নতুন দিক উন্মোচন করে। চলচ্চিত্র তার নির্মাণের সময়ের জীবনযাত্রাকে ইতিহাসে ধরে রাখে-তাই মানুষের কথা, মানুষের ভাবনা তুলে ধরতে চলচ্চিত্রের অবদান অনবদ্য।

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার কীরিটি চাকমার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষি, পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে স্বপন ভট্টাচার্য। 

বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসবে ২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। 

এদিন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর