রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হাতে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তুলে দিতে কাজ করেছে একটি চক্র। আর প্রতিটি এনআইডির জন্য রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৫০-৬০ হাজার টাকা বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। ছদ্মবেশে মাঠে নেমে এই এনআইডি কেলেঙ্কারির পুরো রহস্য উন্মোচন করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তদন্ত দল।
জানা গেছে, তদন্তকারী দল কখনো এনআইডি পেতে আগ্রহী রোহিঙ্গা সেজে, আবার কখনো এনআইডি প্রস্তুতকারী দালালের বেশে অনুসন্ধানে মাঠে নামে। কক্সবাজারের দালালরাই এনআইডির ছবি তোলার জন্য তাদের নিয়ে আসে চট্টগ্রামে। নগরীর দালালদের মাধ্যমেই চিহ্নিত হয় নির্বাচন কমিশনের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন। জয়নাল একা নয়, তার সহযোগী ছিল সাত বছর আগে অনিয়মের অভিযোগে এনআইডি উইং থেকে চাকরিচ্যুত সত্য সুন্দর এবং সাগর নামে দু’জন।
নির্বাচন কমিশন তদন্ত টিম প্রধান ইকবাল হোসেন ও তদন্ত টিম প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা এনআইডি জালিয়াতি মামলায় আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে ৩ দিন এবং অপর ২ জনকে একদিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহনাজ রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে পুলিশ প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড চাইলে জয়নালের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া জয়নালের ২ সহযোগী বিজয় দাশ ও সীমা দাশকে ১ দিন করে রিমান্ড দেন আদালত। কমিশনের হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এনআইডি পাইয়ে দেয়ার সাথে জড়িত থাকায় অভিযোগ ছিলো তাদের বিরুদ্ধে। পরে গত সোমবার রাতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে ৩ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন কর্মকর্তারা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক