দেশে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজ শিশু রয়েছে ১.২৮ মিলিয়ন। মোট গৃহকর্মীর সংখ্যা ২ মিলিয়ন। এর মধ্যে চার লাখ ২০ হাজার গৃহকর্মী শিশু, যার ৮৩ শতাংশই মেয়ে শিশু।
গবেষণায় দেখানো হয়েছে, মেয়ে শিশু হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়েছে, শুধু চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৪৯৬জন শিশু ধষর্ণের শিকার হয়েছে। অথচ গত বছর ১২ মাসে ধর্ষিত হয়েছিল ৫৭১জন। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় দেশে শিশু ধষর্ণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ হারে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘শিশু অধিকার ও বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) ও বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এএসডির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউকে এম ফারহানা সুলতানা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী ও শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশে শিশু হত্যা, ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ দেশে আইন থাকলেও তা উপেক্ষতি হচ্ছে। আইনের আওতায় আসছে না অপরাধীরা। বিচার প্রক্রিয়ার বিলম্বের কারণে অপরাধীরা জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসে। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়না। আবার পুলিশের দেওয়া মামলার চার্জশিটে আইনের ফাঁক-ফোকর থাকে। ফলে এক পর্যায়ে প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে নির্যাতিতরা সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়। অনেক শিশুর অভিবাবক সম্মাণ হারানোর ভয়ে মামলাই করতে চান না।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন