প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করা প্রগতিশীল চেতনার প্রথিতযশা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশের সংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বরেণ্য সাংবাদিকদের নিয়ে অপপ্রচারের বিচার চাই’ শীর্ষক মানববন্ধনে তারা এমন অভিযোগ করেন।
অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আহ্বান জানিয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, দেশ বরেণ্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাতে চাই, যারা আপনাদের সম্মানহানি করছেন ফেসবুক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা অন্যান্য যে আইন আছে, সেই আইনে ব্যবস্থা নিন।
তিনি আরো বলেন, যারা প্রগতিশীল চেতনার সাংবাদিক, শেখ হাসিনার পক্ষে যারা লড়াই করেন কলমের মাধ্যমে, তাদেরকে কীভাবে দমিয়ে রাখা যায়, সেই চেষ্টা আজ করা হচ্ছে। দুঃখজনক বিষয় হলো, সেই চেষ্টার সঙ্গে আমাদের কিছু মুখোশধারী ব্যক্তি জড়িত।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, এ অপপ্রচার কাদের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে? যারা টেলিভিশনে নিয়মিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলেন, যারা নিয়মিত দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেন, যারা ৭১-এ নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলেন– সেসব নেতৃবৃন্দকে তারা টার্গেট করেছে। তাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ চেষ্টা অতীতেও প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি, ভবিষ্যতেও করব।
তিনি বলেন, আমি বিস্মিত হই, যখন এসব ষড়যন্ত্রকারীর সঙ্গে আমাদের কেউ কেউ যুক্ত হন। আমাদের নেতৃত্বপর্যায়ের কেউ কেউ তাদের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন। আমি দেখলাম, টেলিভিশনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বললেন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, যশোর, দিনাজপুর, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের কাছে বিচার চেয়ে ওমর ফারুক বলেন, মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, ডিএফইউজের সভাপতি আমাদের সাবেক সভাপতিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিষোদগার করতে পারেন কি-না? আপনারা উনার কাছে প্রমাণ চান। যদি প্রমাণিত হয়, আমরা তার কথা মেনে নেব। প্রমাণ ছাড়া তিনি কী করে আমাদের সংগঠনকে, যারা এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হন।
ওমর ফারুক আরও বলেন, আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারেন এ অপপ্রচারের উদ্দেশ্য কী? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বাংলাদেশকে উন্নয়নের হাইওয়েতে নিয়ে গেছেন। এ পর্যায়ে নিয়ে যেতে কিছু কিছু কাদা তো জমা হয়েছেই, এটা অস্বীকার করা যাবে না। সেই কাদা যখন প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিলেন, তখন একদল ষড়যন্ত্রকারী এ উদ্যোগকে বিতর্কিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের চিরশত্রু পাকিস্তানের দোসররা যারা এ দেশে বসবাস করে, দেশের বাইরে যারা বসবাস করে, তারা এ সুযোগকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী, প্রথিতযশা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান। উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) প্রচার সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, ডিআরইউর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামালসহ প্রমুখ গণমাধ্যমকর্মী।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব