শিরোনাম
১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ১৯:৪৯

খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলেন ড. কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলেন ড. কামাল

বক্তব্য রাখছেন ড. কামাল হোসেন

গণফোরাম সভাপতি ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, সময় থাকতে মাথা ঠাণ্ডা করেন। মনে করবেন না, কিছু পুলিশ, কিছু বন্দুক দিয়ে এই দেশের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবেন। আমাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার কোনো ক্ষমতা নেই আপনার, পারবেনও না। ১৬ কোটি মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ কেউ করতে পারে নাই। আপনিও পারবেন না। সময় থাকতে মাথা ঠাণ্ডা করে কুশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করেন। সভ্যভাবে আপনি সরে যান। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশিন গঠন করেন। তিনি আরো বলেন, আমি ক্ষমতা চাচ্ছি না। এই মঞ্চের কেউ-ই চাচ্ছে না। ১৬ কোটি মানুষের কাছে মালিকানা ছেড়ে দিন। কুশাসন থেকে মানুষ মুক্ত হোক। সুশাসন প্রতিষ্ঠা হোক। আপনি সরে দাঁড়ান। আপনাকে সরতেই হবে। দেশের প্রতিদিন যে ক্ষতি হচ্ছে, সেই ক্ষতি থেকে বাঁচতে আপনাকে সরে দাঁড়াতেই হবে।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার চাই, জমায়েত ও নাগরিক শোক র‌্যালি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণফোরাম সভাপতি আরও বলেন, যথেষ্ট হয়েছে। আর কত? তৃতীয়বার? তৃতীয়বার কে আপনাকে নির্বাচিত করেছে? আমরা তো দেখেছি, ২৯ তারিখ রাতের পর ৩০ তারিখ সকালে এসে ‘আমি নির্বাচিত হয়ে গেছি, আগামী পাঁচ বছরের জন্য আমি হয়ে গেছি। এই নাটক দেখেছি।' আপনি তো নাট্যকার, আপনি নেত্রী না। আপনি নিজে মিথ্যার শিকার হচ্ছেন। মিথ্যার শিকার যারা হন, তাদের পরিণতি হয় ভয়াবহ। মিথ্যা দিয়ে আপনি কতদিন ভুল পথে চলবেন? আমি সাক্ষ্য দেবো, তৃতীয়বার আপনাকে কেউ নির্বাচিত করে নাই।

আবরার হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, সন্ত্রাসকে আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। আবরার কী অন্যায় করেছিল? আবরারের সঙ্গে যেটা করা হয়েছে, সেটা সংবিধানের ওপর আঘাত করা, সংবিধানকে অমান্য করা, সংবিধানকে ধ্বংস করা-এটা অপরাধ। এই অপরাধ হল সব চেয়ে গুরুতর অপরাধ। আইন ভঙ্গ করা তো অপরাধ বটেই। কিন্তু মৌলিক আইন ভঙ্গ করা মানে সেখানে যে মৌলিক অধিকার আছে, সেটাকে অমান্য করা। এর চেয়ে গুরুতর অপরাধ আর হয় না। এই অপরাধ এরা (সরকার) রীতিমতো করে যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য গুরুতরভাবে খারাপ হয়েছে। তার বেঁচে থাকার ব্যাপারে সবাই আশঙ্কা করছে। উনি তিন বার দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। উনি মুক্তি পাবেন না, চিকিৎসা পাবেন না, এটা কল্পনা করা যায় না। আমি উনার মুক্তি দাবি করছি।

জমায়েতে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের  ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহুমুদ টুকু, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এস এম আকরাম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর