একদশ জাতীয় সংসদের বাগেরহাট-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সরকার দলীয় সদস্য ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদ সর্বসম্মত শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। চলতি সংসদের সদস্য হওয়ায় সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী দিনের সকল কার্যসূচি স্থগিত রেখে বৈঠক মূলতবি করা হয়। মরহুমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও রূহের মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন গত ১০ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
এর আগে, শোক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা বলেন, ডা. মোজাম্মেলের মৃত্যুতে দেশবাসী একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবিদকে হারালো। মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৪টায় আবার বৈঠক বসবে।
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম ও শাহাজান খান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মো. নূরুজ্জামান আহমেদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সরকার দলীয় সদস্য আ ফ ম রুহুল হক, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ও আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ ফজুলুল করিম সেলিম বলেন, মানুষের সঙ্গে তার ব্যবহার ছিল অমায়িক। তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন। তিনি সমাজের জন্য কাজ করেছেন। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন কিন্তু তার কর্ম আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনী কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে মোজাম্মেল হোসেন দক্ষমতার সঙ্গে কাজ করেছেন। অসহায় মানুষকে তিনি যেভাবে সেবা করেছেন তার সেই জনসেবা, মানবসেবা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেনের বাড়ি ছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য ছিল অবারিত। কোনো রোগীর টাকা না থাকলে তার ওষুধ কেনার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন তিনি।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি প্রসূতি মায়েদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি চলে গেলেও তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, তা আমাদের ভবিষ্যৎ পথ চলতে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, এমপি মো. মোজাম্মেল হক গত ১০ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম