দুই বছর এক মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে মুক্তি পেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বুধবার বিকাল ৪টার পর কারা হেফাজতে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান তিনি। বয়স ও মানবিক বিবেচনায় নিয়ে খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার।
জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছে। তার সাজা স্থগিত থাকায় অন্য বন্দির মত তিনি স্বাভাবিক চলাচলের সুযোগ পাবেন না। নিজ বাড়িতেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ করেই ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা (১) অনুযায়ী খালেদা জিয়ার যে সাজা, সেটা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার নির্দেশ হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়ায় দুই শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য। শর্ত দুটির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত থাকাবস্থায় তাকে ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) যেতে পারবেন। এছাড়া দণ্ড স্থগিত থাকাকালীন খালেদা জিয়া চিকিৎসা বা অন্য কোনও প্রয়োজনে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক