শিরোনাম
- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
- সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
- ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
- ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
- শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
- মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
- জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
- পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
- পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
- প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
- নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
- বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
- চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
- উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
- বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির
- রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু
- কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন
- মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
- চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
গায়েবি হামলা ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ওসি প্রদীপ
নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন

পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় আগেই কক্সবাজারের টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার হন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার একটি ভিডিও গত ২৫ জুলাই থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। এই ভিডিওতে ওসি প্রদীপ বলেন, ‘টেকনাফের প্রতিটি পাড়া-মহল্লার ইয়াবা কারবারিদের গ্রেফতার করা হবে। যাদের পাওয়া যাবে না, তাদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট, যানবাহন সমূলে উৎপাটন করা হবে। তাদের বাড়িতে গায়েবি হামলা হবে। কোনো কোনো বাড়ি ও গাড়িতে গায়েবি অগ্নিসংযোগও হতে পারে।’ ওসির এই ভীতিকর ভিডিও বার্তা নিয়ে কক্সবাজারে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় সে সময়। স্থানীয় একটি অনলাইন টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে টেকনাফ উপজেলাকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করার নিমিত্তে মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে আমরা প্রতিটি ইউনিয়নকে দুটি ভাগে ভাগ করেছি এবং প্রতিটা ইউনিয়নে আপনারা জানেন যে- ৯টি করে ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা কোনোটাতে ৪টি, কোনোটাতে ৫টি করে দুটি বিট করেছি এবং প্রতিটা বিটে একজন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর, একজন এএসআই এবং ১০ কনস্টেবলের নেতৃত্বে আমরা একটি টিম গঠন করেছি। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি- প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় যে সব ইয়াবা কারবারি রয়েছে ওদের গ্রেফতার করতে হবে। গ্রেফতার করার পর ওদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা এবং কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি তাদের পাওয়া না যায়, তাহলে তারা যেখানে ইয়াবা বিক্রি করে, ওদের ঘর-বাড়ি, ওদের দোকানপাট বা যে সব যানবাহনের মাধ্যমে তারা ইয়াবা পাচার করে, ওই সব যানবাহনকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। ওই সব বাড়িতে গায়েবি হামলা হবে, কোনো কোনো বাড়িতে গায়েবি অগ্নিসংযোগ হবে এবং কোনো কোনো গাড়িতে গায়েবি অগ্নিসংযোগও হতে পারে। এ বিষয়টা লক্ষ্য করে আমরা একেবারে যেমন কোনো একটি মানুষের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার পরে যেমন ওই অংশটুকু একেবারে কেটে ফেলে দেই, আমরা এখন প্রতিটি পাড়া-মহল্লা থেকে ইয়াবা কারবারিদের একেবারে সমূলে উৎপাটন করার জন্য একটি কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা এ লক্ষ্যে সাবরাহা কাজ করেছি গতকাল। আজকে হাবিলছড়া ইউনিয়নে জিয়াউদ্দিন মামুনের বাড়িতে গায়েবি হামলা হয়েছে এবং গায়েবি আগুনও ধরেছে। পরিপূর্ণভাবে ইয়াবা নির্মূলের জন্য যতটুকু শক্ত হওয়া প্রয়োজন, যা যা করা প্রয়োজন, আমি টেকনাফবাসীর জন্য সব কাজ করে যাব।
ইতিমধ্যে আমরা, আপনারা জেনে থাকবেন যে কয়েকজন মাদক সেবনকারীকে গ্রেফতার করেছি, ওদের জিজ্ঞাসাবাদে- ওরা কার কাছ থেকে ইয়াবা কিনেছে? ইয়াবার উৎস কোথায়? ওটা জেনে তাদের গ্রেফতার করেছি। ওদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে অত্যন্ত শক্ত ব্যবস্থা আমরা নেব। ওরা যে বাড়িতে থেকে ইয়াবা ক্রয় করবে, ওই বাড়িকে সমূলে উৎপাটন করে দেব। অর্থাৎ কোনো ইয়াবা কারবারি ছাড় পাবে না। আমরা যখন আগে বলতাম যে- বাদ যাবে কোনো শিশু। ওই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা বলছি- ছাড় পাবে না কোনো মাদক কারবারি। টেকনাফে একজন মাদক কারবারিও ছাড় পাবে না। আমরা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো টেকনাফ উপজেলাকে একদম ইয়াবা মুক্ত একটি মাদকমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য, যা যা করা প্রয়োজন সব কার্যক্রম গ্রহণ করেছি, ‘আমরা ইতিমধ্যে এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু করেছি এবং তা অব্যাহত থাকবে।’
এই বিভাগের আরও খবর