চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের কাছে আবেদন করেছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। গত রবিবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কার্যালয়ে ডাক রেজিস্ট্রির মাধ্যমে আবেদনপত্র প্রেরণ করেন তিনি।
আবেদনে অধ্যাপক মোর্শেদ বলেছেন, তাকে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে স্বাধীন মতপ্রকাশের দায়ে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩’র আদেশের পরিপন্থী। অবিলম্বে ঢাবি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাতিল ও তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান ড. মোর্শেদ।
আবেদনে অধ্যাপক মোর্শেদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে লেখালেখি করি এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ করি যা আমার সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। ঢাবি কর্তৃক বেআইনিভাবে আমার বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার (একাডেমিক ফ্রিডম) উপরও হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড সম্পাদনের বাইরে আমি এ দেশের একজন নাগরিক এবং যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডের বাইরে আমার কোনো কাজের কারণে কোনো আইন ভঙ্গ হয়ে থাকে তাহলে তা দেশের প্রচলিত আইনে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার্য বিষয়।
এরকম কোনো বিষয়ের উল্লেখ করে যখন ঢাবি পুলিশি কর্মকাণ্ড ও বিচারিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তখন বোঝা যায় আমাকে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক মতাদর্শগত ভিন্নতার কারণে হয়রানি করা হচ্ছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার ধারক ও বাহক হওয়ার হওয়ার কথা সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে মুক্ত চিন্তার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। যেহেতু আমি শিক্ষকতার বাইরে সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি, এই মতাদর্শগত ভিন্নতার কারণে আমাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর ধারা ৫৬(২) এ রাজনৈতিক মতাদর্শ গ্রহণের স্বাধীনতা দেয়া আছে।
এই অবস্থা ও কারণাধীনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর ধারা ৫২ এর বিধান মোতাবেক আমার দাখিলকৃত অত্র আপিলটি গ্রহণ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রদানপূর্বক আপিলটি বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত রদ ও রহিত করে আমাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবি জানান অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত