অবশেষে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার পর রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এরপরই নিবন্ধনের জন্য অনলাইন ‘সুরক্ষা’ প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে আর বাধা থাকলো না। ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে দেশব্যাপী ব্যাপকহারে এ কার্যক্রম চলবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রথম টিকা নেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা। এরপর পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক হিসেবে প্রথম টিকা নেন মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. আহমেদ লুৎফর মবিন, তারপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য দিদারুল ইসলাম এবং সেনা বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। যখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা আসলো, আমরা বললাম যত দ্রুত এই টিকা নেওয়া যায়। আমি ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম ভ্যাকসিন কেনার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ ভালো না লাগা রোগে ভোগে। তার বলে দেশে ভ্যাকসিন আসবে কি না, এই টিকা কার্যকর হবে কি না। দেশে সমালোচনার লোক দরকার আছে। তারা যত সমালোচনা করেছে আমরা তত অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
যারা ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা আশা করি এর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে। দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা এগিয়ে না আসলে এত কিছু করা সম্ভব হতো না। যারা করোনায় মারা গেছেন তাদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক