জাতীয় জীবনে নানা সংকটে কবি আল মাহমুদের কবিতা জাতিকে পথ দেখিয়েছে, সংগ্রাম ও বিপ্লবে প্রেরণা যুগিয়েছে। আধুনিক বাংলা সাহিত্য আবার আল মাহমুদের দিকে প্রত্যাবর্তন করছে স্ব-মহিমায়। এটাই কল্যাণকামী মহত্তম কবির শক্তিমত্তা। সময়ের প্রয়োজনে কবির সাহিত্যকীর্তি ছড়িয়ে দিতে তার নামে ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। বিগত সময়ে আল মাহমুদকে দারুণ অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হয়েছে, কারণ তিনি সত্যিকার দেশত্ব ও ঐতিহ্যবোধকে ধারণ করেছে। বাংলাদেশপন্থার অগ্রপথিক তিনি। জাতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির রূপকার হিসেবে আল মাহমুদ প্রাতঃস্মরণীয়।
কবি আল মাহমুদের ৯০তম জম্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসব কথা বলেন।
সাহিত্য পত্রিকা কালের কলস ও কালের ধ্বনি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, কবি রেজাউদ্দীন স্টালিন, প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক ও লেখক ফারুক ওয়াসিফ, বিশিষ্ট সংগঠক রেজাবুদ্দৌলা, নজরুল গবেষক অধ্যাপক আনোয়ারুল হক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ আরিফ খান ও ড. কাজল রশীদ শাহীন। কালের ধ্বনি সম্পাদক কবি ইমরান মাহফুজের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আল মাহমুদ গবেষক ও কালের কলস সম্পাদক আবিদ আজম।
আয়োজনে সহায়তা করে সাহিত্য পত্রিকা ডাকটিকিট। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসেন, প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী, জুলাই বিপ্লবের আহত যোদ্ধা কবি ইবরাহীম নীরব, ছড়াকার মামুন সারওয়ার ও দৈনিক আমার দেশের সাহিত্য সম্পাদক কবি মুহিম মাহফুজ। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী নাসিম আহমেদ, শায়লা আহমেদ, মাহবুব মুকুল, কবি বোরহান মাহমুদ, তানজীনা ফেরদৌস ও শাহীন আফজাল।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত