বাংলাদেশ জেলের নাম পরিবর্তন করে ‘কারেকশন সার্ভিস বাংলাদেশ’ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, কারাগারে বন্দীদের শাস্তি নয়, সংশোধনের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বন্দীদের উৎপাদনমুখী করতে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে কারা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার দুপুরে কারা অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, তীব্র জনবল সংকট দূর করতে সরকার নতুন জনবলের অনুমোদন দিয়েছে। আরও দেড় হাজার জনবলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
মহাপরিদর্শক বলেন, নারায়ণগঞ্জে বন্দীদের জন্য কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট সারা দেশের জেলখানা থেকে ২২০০ বন্দি পালিয়েছে, যার মধ্যে ৭০০ এখনও পলাতক। এদের মধ্যে ৯ জন জঙ্গি, বাকিরা যাবজ্জীবন বা অন্যান্য মামলার আসামি।
কারা দপ্তর ‘বাংলাদেশ জেল’ নাম পরিবর্তন করে ‘কারেকশন সার্ভিস বাংলাদেশ’ করার উদ্যোগ নিয়েছে। বন্দী সহায়ক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দী নিয়ন্ত্রণে নতুন ২টি কেন্দ্রীয় ও ৪টি জেলা কারাগার চালু করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা ভবিষ্যতে দীর্ঘদিনের জনবল সংকট দূর করবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন অভিযোগে ৩৪ জনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কারা দপ্তর। বন্দীদের উৎপাদনমুখী করতে কারেশনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত