২০ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:২৮

লকডাউনে ওএমএসের চাল বিক্রি অব্যাহত থাকবে

অনলাইন ডেস্ক

লকডাউনে ওএমএসের চাল বিক্রি অব্যাহত থাকবে

লকডাউনে স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্যের মৌলিক চাহিদা পূরণে ন্যায্য মূল্যে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সপ্তাহে ছয়দিনই এ কার্যক্রম চলবে।

মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনা ভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে ১৪ এপ্রিল ভোর থেকে ২১ এপ্রিল মধ্য রাত পর্যন্ত বিধি-নিষেধ বা লকডাউন আরোপ করেছে সরকার। এরপর ১৯ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চলমান লকডাউন ২২ এপ্রিল থেকে আরও সাতদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের শহরগুলোতে ন্যায্য মূল্যে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের শহরগুলোতে ৭১৫ জন ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে মোট ৭১৫টি বিক্রয়কেন্দ্রে (১০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসহ) ৭৩৩ মেট্রিক টন চাল ও ৭৯৬ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হবে।

এছাড়া সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে পণ্যের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। এ চাহিদার বিপরীতে দেশের উৎপাদন, আমদানির পরিমাণ, আমদানির মূল্য বিবেচনা করে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন বেধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, খুচরা বাজারে ছোলা কেজি প্রতি ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভোজ্যতেলের এক লিটারের বোতল ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৭-৬৯ টাকা ও সরু দানার ডাল ৯৭ থেকে ১০৩ টাকায় বিক্রি হবে এবং চিনির খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায় কিনতে পারবেন ক্রেতারা। সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি ৮০-১০০ ও মধ্যম মানের খেজুর ২০০-২৫০ টাকার বেশি হতে পারবে না।  

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা, তিন লাখ টন পেঁয়াজ, দুই লাখ টন ভোজ্যতেল, ৮০ হাজার টন মসুর ডাল, এক লাখ ৩৬ হাজার টন চিনি ও ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সারাদেশব্যাপী ৫০০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এ বছর নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি থাকার কারণে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়েছে টিসিবি। রমজানে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে, সেগুলোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ টিসিবির মজুত রয়েছে। রমজান উপলক্ষে সংস্থাটি সাশ্রয়ী মূল্যে ২৬ হাজার ৫০০ টন ভোজ্যতেল, ১৮ হাজার টন চিনি, ১২ হাজার টন মসুর ডাল, আট হাজার টন ছোলা, ছয় হাজার টন পেঁয়াজ বিক্রি করবে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর