রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৫২ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৩৬ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
বিবৃতিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক এবং এখনও অগণিত নিখোঁজ রয়েছেন বলে গণমাধ্যম সূত্র থেকে জানা গেছে। আমরা এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার এবং শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘অগ্নিকাণ্ডের দায় কি আমার’ শীর্ষক যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা তার বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে আমরা এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, রাশেদা কে. চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সারা হোসেন, নিজেরা করি-র সমন্বয়কারী খুশী কবির, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক স্বপন আদনান, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ড. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, ড. নাসরিন খন্দকার, সায়েমা খাতুন, গবেষক ড. নোভা আহমেদ, অ্যাক্টিভিস্ট সাদাফ সাজ সিদ্দিকী, অধ্যাপক পারভীন হাসান, অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, মানবাধিকার কর্মী শারমীন মুরশিদ, শিরিন প হক, সঞ্জীব দ্রং, ড. ফষ্টিনা পেরেরা, নূর খান লিটন, জাকির হোসেন, আইনজীবী তবারক হোসেইন, ডা. নায়লা জেড খান, নাসের বুখতিয়ার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন