আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ১৫ আগস্টের দৃশ্যমান খুনীদেরকে আমরা চিনেছি মাত্র। কিন্তু ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে নেপথ্যে থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হয়নি। তাই এক/এগারোর অঘটনের সময়ও শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাদেরকেও আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি।
শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি সুরাইয়া আক্তার এর সভাপতিত্বে কাজী রহিমা আক্তার সাথীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ।
১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপট তুলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরবর্তী বাংলাদেশে প্রতিরোধ-প্রতিবাদের ডাকের অভাব ছিল সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন নানক। তিনি বলেন, সেদিন কে যে কাক আর কে কোকিল? কে আমাদের পক্ষে আর কে আমাদের বিপক্ষে? তা চিনতে পারিনি। খুনী মোশতাক যখন বঙ্গবভনে সংসদ সদস্যদের ডাকল আমরা এমপিদের বাড়িতে বাড়িতে চিঠি নিয়ে গিয়ে হুমকি দিয়েছি। বঙ্গভবনে মোশতাকের ওই সংসদীয় সভায় উপস্থিত হওয়া যাবে না। তারপরও কিন্তু অনেকেই সেই সভায় অংশগ্রহণ করেছেন। বিভ্রান্ত করা হল দেশের মানুষকে।
সেই প্রেক্ষাপটের কথা তুলে নানক বলেন, বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার দুই তৃতীয়াংশ মন্ত্রী সেদিন খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন। সেদিন সেনাবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান পুলিশের আইজি বাংলাদেশ বেতারে গিয়ে সেই সরকারের প্রতি আস্থা জানিয়েছিল। একথা কিন্তু আমরা ভুলি নাই।
আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জনসমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইতিহাস বিকৃতকারী বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পদ টিকানোর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন। মির্জা ফখরুল তার দলে এবং দেশের জনগণের কাছে তার সমর্থন হারিয়ে দিশেহারা। তাই মিথ্যার ফেরিওয়ালা হয়ে সরকারের উন্নয়ন ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তবে আপনার মিথ্যাচার আর সরকার বিরোধী অপচেষ্টা আর সফল হবে না এ দেশের মাটিতে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন