ভিক্ষাবৃত্তি করেন রুমেলা বেগম। বয়স ৭৫ হয়েছে। পঞ্চাশ বছর আগে তাকে ছেড়ে চলে যায় স্বামী। এরপর থেকে এক মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা পেয়ে রুমেলা বলেন, 'আমার এক পাগল বেটা ছাড়া কেউ নাই। চাইয়্যা-চিন্তে খাই। ফেতরা চাইয়্যা লই। কেউ দেয় কেউ দেয় না। তা দিয়া কোন রকম খাই। তোমাদের সাহায্য পাইয়্যা ভালো লাগছে। আইজ রোজা আছি মহরমের। তোমাদের জন্য দোয়া করব।'
নাবিয়া খাতুন নামের এক উপকারভোগী বলেন, 'মাইনষেরতে ভিক্ষা কইরা খাই। আমারে কেউ খাইতে দিলে তার জন্য দোয়া করি। আইজ বসুন্ধরা খাবার দিল, আমার ধনেরা বাইচা থাক। কামে বরকত দেক। কামে বরকত না দিলে তো আমি পামু না।'
শনিবার গোদাগাড়ী উপজেলায় তাদের মতো ৩০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এছাড়া সবার মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।
উপজেলার পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল করিম শিবলী বলেন, করোনার এই প্যানডেমিক সময়ে বসুন্ধরা গ্রুপ মানুষের পাশে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনাদেরকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। শুধু তাই নয় তারা পুরো দেশব্যাপী অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। আমি দেখেছি তারা রংপুর বিভাগের সব জেলায় ২৪ হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে। রাজশাহী বিভাগেও ২৪ হাজার পরিবারকে দিচ্ছে। দেশে অনেক বিত্তবান আছে। কিন্তু সবাই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় না। বসুন্ধরা গ্রুপ দিয়েছে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য আপনারা খাস দিলে দোয়া করবেন। তারা যেন আবারও আপনাদের সহায়তা করতে পারে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কালের কন্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কন্ঠ'র নিজস্ব ফটো সাংবাদিক সালাউদ্দিন, এস এ বাপ্পী, আতিকুল ইসলাম কৌশিক, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবনসহ গোদাগাড়ীর সেচ্ছাসেবী মনিরুল ইসলাম বকুল, শফিউল ইসলাম মুক্তা, তাজউদ্দিন আহমেদ, মেম্বার মো. রফিকুল ইসলাম।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন