বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে রাশিয়ার ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একইসঙ্গে তিনি বলেন, পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অগ্রগায়ন ও সুসংহতকরণ সম্ভব।
রাজধানীর সংসদ ভবনে আজ স্পিকারের কার্যালয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত কোভিড-১৯ মোকাবেলা করে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগসমূহেরও প্রশংসা করেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূত আগামী ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিতব্য ‘তৃতীয় ইউরো এশিয়া উইমেন্স কনফারেন্সে’ অংশগ্রহণের জন্য রাশিয়ার স্টেট ডুমার স্পিকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানান। স্পিকার সাদরে এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর মধ্যেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে সংসদে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কোভিডকালীন অর্থনীতিতে বৈশ্বিক মন্দা বিরাজ করলেও বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকালে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, করোনাকালীন জীবনযাত্রা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাথে সুদৃঢ় কূটনৈতিক সু-সম্পর্কের ধারাবাহিকতা স্মরণ করেন। এসময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত