শিরোনাম
প্রকাশ: ২১:৫০, রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন
হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’

হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার বছরের ঐক্য এবং ঐতিহ্যকে বিলীন করার অপচেষ্টা নিয়ে হিন্দুদের ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বেসরকারি সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’। এর কর্ণধার শাহীন আনাম এবং তার স্বামী ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের নেতৃত্বে এ চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

রবিবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। হিন্দু ধর্মীয় আইন পরিবর্তন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

হিন্দু মহাজোটের নেতারা বলেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি এনজিও হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা সুসংহত হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে অশান্তির বীজ বপন করছে। ১০ হাজার বছরের পুরনো এই হিন্দু পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংস করে বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে চক্রটি। তাদের দুরভিসন্ধি হাসিলে হিন্দু আইন সংস্কারের জন্য আইন কমিশনে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। যার নেতৃত্বে আছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন আনাম ও তার স্বামী মাহফুজ আনাম সিন্ডিকেট।

নেতারা আরও বলেন, আইন পরিবর্তনের নামে হিন্দু মা-বোনদের বলির পাঁঠা বানাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এর নেতৃত্বে রয়েছেন মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম এবং ‘বাঁচতে শেখা’র পরিচালক এঞ্জেলা গোমেজ। তারা প্রতিনিয়ত হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনিও বলেছেন যেখানে হিন্দুরাই চায় না আইন পরিবর্তন হোক, সেখানে অন্যদের দাবির যৌক্তিকতা নেই।

তারা বলেন, সম্পদ নিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তারা যে বলেন হিন্দু ধর্মে নারীদেরকে সম্পদ দেওয়া হয় না, এ কথা সত্য নয়। তাদের এসব কথা শুনে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমরা এসব বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানাই। তারা সরকার এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। মূলত হিন্দু আইনে সম্পত্তির নির্দিষ্ট কোনো মালিক নেই। পরিবারে যখন যিনি দায়িত্বে থাকবেন, তিনিই মালিক।  হিন্দু পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজন করে ব্যক্তি কেন্দ্রীক সম্পত্তি বন্টন, বিবাহ বিচ্ছেদ, হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ও শাস্তির বিধান, দত্তক, ভরণ-পোষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রীয় পবিত্র বিধি-বিধান পরিবর্তনের চক্রান্ত করছে। আর এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভেদ ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে হিন্দু সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের’ পরিচালক শাহীন আনাম ও ‘বাঁচতে শেখা’র পরিচালক এঞ্জেলা গোমেজের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে সভা-সেমিনার করে হিন্দু বিধিবিধান সম্পর্কে মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রচার করছে। সারাদেশের হিন্দু সমাজের মধ্যে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী বলেন, সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে হিন্দু আইন নিয়ে বড় চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত সুদূরপ্রসারী। শোকের মাসে আমাদেরকে হিন্দু আইন নিয়ে প্রতিবাদী বক্তব্য দিতে হবে আমরা প্রত্যাশা করিনি। হিন্দু আইন নিয়ে কেউ কেউ পাঁয়তারা করছে। যারা এই আইনের সংস্কার চলছে তাদের মতলব কি সেটি আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এই আইনটির পরিবর্তন সরকারও চাচ্ছে না। অথচ কতিপয় এনজিও চাচ্ছে তাদের প্রয়োজনে।

তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের আরও সোচ্চার এবং ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা এই বিষয়গুলো জানাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে চাই। আমাদের বিশ্বাস, আমাদের সুরক্ষার দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যার। সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যে আমাদের এই জাগরণ সীমাবদ্ধ নয়, হিন্দু সংগঠনগুলোর সমস্ত নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করব। মাহফুজ আনামদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবো।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট লাকী বাছাড় বলেন, শাহীন আনামসহ এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুদের আইন পরিবর্তনের নামে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। হিন্দু মা-বোনেরা চায় না এ আইন পরিবর্তন হোক। যেখানে আমরাই চাই না, সেখানে তাদের কেন এত মাথাব্যথা। এটি মূলত হিন্দুদের ঘরে ঘরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র। মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম ও গোমেজের নেতৃত্বে চক্রটি ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে।

বিস্ময় প্রকাশ করে লাকী বাছাড় বলেন, আমাদের আইন পরিবর্তন করা হবে, অথচ আমরাই জানি না। তাহলে কার স্বার্থে এই চক্রান্ত। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন বিদেশ থেকে তহবিল এনে এই ষড়যন্ত্র করছে। অথচ তারা চাইলে অসহায় মানুষের সেবা করতে পারে। তা না করে তারা আমাদের মা-বোনদের বলির পাঁঠা বানাচ্ছে। আসলে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই।

হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, মাহফুজ আনাম এবং শাহীন আনাম হিন্দু ধর্ম আইনের সংস্কার চেয়ে যে প্রচারণা চালাচ্ছেন সেটি সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক কয়েকটি এনজিও। তারা কেন এ আইনের সংস্কার চায় নিজেরাও বোঝে না। হিন্দু আইন সংস্কার যাদের জন্য প্রয়োজন তারা এ ব্যাপারে কোনো দাবি তোলেনি। শাহীন আনাম না বুঝে হিন্দু আইনের বিরুদ্ধে যেসব অনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছেন, অর্থ ব্যয় করছেন এসব অর্থের উৎস কোথায়, তাও বেরিয়ে আসা উচিত।

তিনি আরও বলেন, সনাতন আইনের কোনো সংস্কার অথবা পরিবর্তন প্রয়োজন নেই। আজকে যারা এই আইনের সংস্কার চায় তারা হিন্দু ধর্মকে অবমাননা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সোচ্চার হতে হবে। হিন্দু ধর্মকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য তারা এই পাঁয়তারা করছেন। তাদের আচরণে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অত্যন্ত ব্যথিত। শাহীন আনাম এনজিওর এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাহফুজ আনাম সম্পাদিত ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারকে কাজে লাগিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

প্রণব মঠ ঢাকার অধ্যক্ষ স্বামী সঙ্গীতানন্দ মহারাজ বলেন, আইন সংস্কারের নামে মন্দির ভেঙে ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে নেমেছেন মাহফুজ আনাম ও শাহীন আনাম। এর মাধ্যমে তারা হিন্দুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান। মাহফুজ আনামরা সরকার ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল ধরাতে তৎপর। তারা চায় হিন্দু সম্প্রদায়কে সরকারের প্রতিপক্ষ বানাতে। এজন্য তারা আইন সংস্কারের নামে চক্রান্তে নেমেছে। কিন্তু বাস্তবতা হল হাজার বছর ধরে নিজস্ব নিয়মে চলে আসা সনাতন ধর্মে অন্য ধর্মের কেউ হাত দেওয়ার অধিকার নেই।

তিনি বলেন, প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের সনাতন ধর্মে হাত দেওয়ার অধিকার মাহফুজ আনামের নেই। মাহফুজ আনামরা আমাদের ধর্মে নারীর অধিকারের কথা বললেও বাস্তবতা হল এ ধর্মে কারো অধিকার কখনো খর্ব হয়নি। তারা সনাতন ধর্মের আইনের অপব্যাখ্যা করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। এদেশে মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সু-সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। এটা তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই মাহফুজ আনামরা চক্রান্তে নেমেছেন সে সম্পর্কে যাতে নষ্ট হয়ে যায়।

ইসকনের ফুড ফর লাইফ-এর পরিচালক রুপানুগ গৌরদাস ব্রহ্মচারী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভালো আছে। আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। হিন্দুরা ভালো আছি। আমাদের হিন্দু পরিবারগুলোতে ভাই-বোনের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। এদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই। কোনো আক্ষেপ নেই। ফলে হিন্দু আইন পরিবর্তনের নামে মাহফুজ আনামরা যে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন, তা সুস্পষ্ট। আমরা হিন্দু আইন সংস্কারের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। 

মাহফুজ আনামকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মান্ধ করার জন্য নানা সময়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। আজকে যে হিন্দু আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটা তারই একটি প্রক্রিয়া। হিন্দু আইন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী মাহফুজ আনাম ও তার স্ত্রী শাহীন আনাম যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা প্রত্যাহার না করলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মা-বোনেরা ঝাড়ু হাতে নিয়ে ডেইলি স্টার অফিস ঘেরাও করবে। অবিলম্বে হিন্দু আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রত্যাহার না হলে জোরদার আন্দোলন শুরু হবে।

বৈদিক কৃষ্টি সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার প্রধান আচার্য রবীন্দ্রনাথ দেবনাথ প্রশ্ন করে বলেন, যারা হিন্দু আইন পরিবর্তন করতে চান তারা কারা। শাহীন আনাম ও মাহফুজ আনাম গংরা আমাদের ধর্ম সংস্কার করতে চেয়ে প্রকারান্তরে সংবিধান লংঘন করেছেন। এটি অত্যন্ত  গুরুতর অপরাধ। সংবিধান লংঘন ক্ষমার অযোগ্য। সুতরাং তাদেরকে কোনভাবেই ক্ষমা করা যাবে না। আমরা মাহফুজ আনামদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা হিন্দু আইন পরিবর্তন করতে চান, তারা কেন আইন পরিবর্তন করতে চান? তারা কি আমাদেরকে বাঁচাতে চান না কি আমাদেরকে মেরে ফেলতে চান? আসলে হাজার বছরের সনাতন ধর্ম সংস্কার করে তারা আমাদেরকে মেরে ফেলতে চায়। মূলত আমাদের ধর্ম সংস্কারের মাধ্যমে তারা হিন্দু পরিবারের শান্তি ও দায়ভার বিলুপ্ত করে বিশৃঙ্খলা করতে চাচ্ছেন।

হিন্দু মহাজোটের বরিষ্ট সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল বলেন, মাহফুজ আনামকে আপনারা জানেন। এক এগারোর সময় শেখ হাসিনা বাদ খালেদা বাদ, তারা নিজেরা কর্তৃত্ব করতে চান। মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম সব সময় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছেন। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। এরা হিন্দুধর্ম ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদের সভাপতি কর্নেল (অব.) নিরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, হিন্দুধর্মে মত-পথ রয়েছে, তবে বেদ সার্বভৌম। এর সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। একতাকে ধ্বংস করবো না। অন্যায়ভাবে প্রচার করা হয় হিন্দুরা দ্বিধাবিভক্ত। না, আমরা একতাবদ্ধ। আমাদের মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই। গুটিকয়েক এনজিও হিন্দু ধর্ম নিয়ে চক্রান্ত করছে। ওইসব এনজিও কর্মীর বিচার চাই। কোনভাবেই আইন পরিবর্তনযোগ্য নয়। আমরা বিব্রত, সরকারকে বিব্রত করছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আনন্দ করার কথা, সেখানে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী প্রতিভা বাগচী। তিনি বলেন, আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব তোলার মধ্য দিয়ে মূলত চক্রটি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়কে ক্ষেপিয়ে তোলার গোপন মিশনে মেতেছে। শাহীন আনাম সিন্ডিকেটের এই অপতৎপরতার কারণে সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায় মনে করছে এই সরকার আমাদের ধর্মীয় বিধিবিধান ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। ফলে সরকারের প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস শুধু নষ্ট হচ্ছে না, বিদ্বেষও ছড়িয়ে পড়ছে। এইভাবে শাহীন আনামগং কৌশলে হিন্দু সম্প্রদায়কে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার নীলনকশা বাস্তবায়নের পাঁয়তারা করছে। তারা আওয়ামী লীগ সরকার ও হিন্দু সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ডেইলি স্টারে কল্পকাহিনি ছাপিয়ে মাহফুজ আনাম হিন্দু সমাজের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। দেশে অনেক ইস্যু থাকলেও হাজার বছর আগের মীমাংসিত ইস্যুকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। হিন্দু আইন সংস্কারের নামে বিভেদ সৃষ্টির কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু মানুষ এখন আর এতো বোকা নয়, অনেক সচেতন, তারা সহজেই চালাকি ধরে ফেলতে পারে। তারা দেশের বাইরে থেকে তহবিল এনে গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। চক্রটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। তারা আসলে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। চক্রটির এসব হীন তৎপরতায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটসহ হিন্দু ধর্মালম্বীদের ২৩টি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সারাদেশের প্রায় পৌনে দুই কোটি হিন্দু সমাজ চরম উদ্বিগ্ন।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, শাহীন আনাম এর আগে ২০১৭-১৮ সালে তার এক কর্মচারীকে দিয়ে হিন্দু ধর্মে তালাক প্রথা চালু করার জন্য রিট দায়ের করেন। তখন কোর্ট বিষয়টি শুনানিযোগ্য নয় বলে খারিজ করে দেয়। হিন্দু বিয়েতে বর ও বধূকে নানা বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করতে হয়। এই বৈদিক মন্ত্র হল পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থ ঋগ্বেদ থেকে সংকলিত। বিয়ের মন্ত্রগুলো কোন পুরুষের রচিত নয়; মন্ত্রদ্রষ্টা নারী ঋষি সূর্যার নিকট আবির্ভূত হয়েছিল। আর বিয়ের সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি স্ত্রী আচার দিয়ে মহিমামন্ডিত। যে বিধান হাজার হাজার বছর ধরে এই নারী ঋষির তৈরি এই বিবাহ ব্যবস্থা অবিকৃতভাবে চলমান থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবার ব্যবস্থা উপহার দিয়ে চলেছে। এই মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে দু’টি হৃদয়, দু’টি মন, দু’টি শরীর একসূত্রে গ্রথিত হয়। হিন্দু নারী পুরুষের জীবনে আসে অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে; তাকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না। হিন্দু কুমারী যখন বিয়ের পিড়িতে বসে তখন রাজরাণীর মুকুট পড়ে বসে। রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থার ফলে দুষ্ট মানুষেরা বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে গোপনে ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করে সহজ সরল নারীদের প্রতারিত করবে। হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য নষ্ট হবে; ধর্মীয় বিশ্বাস নষ্ট হবে। অতএব তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ যে নামেই হোক না কেন কোনটাই হিন্দু সমাজ মেনে নেবে না।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হিন্দু আইনে পিতা বা কোন পুরুষের সম্পত্তি নেই; সম্পত্তি পরিবারের। হিন্দু আইনে স্পষ্ট ভাবে তো আছেই, সংশয় নিরসনের জন্য উচ্চ আদালতের বহু ডিসিশন আছে। হিন্দু আইনে সকল সম্পত্তির একক মালিক যৌথ পরিবার। যৌথ এবং অবিভক্ত পরিবার হিন্দু সমাজের সাধারণ নীতি। সকল শ্রেণির হিন্দু পরিবার সাধারণভাবে যৌথ। এটি শুধু সম্পত্তির ক্ষেত্রে নয়; বরং আহার এবং উপাসনার ক্ষেত্রেও।

অবিলম্বে এ প্রস্তাব থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে হিন্দু নেতারা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো- হিন্দু আইনের কোন ধরনের সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা হবে না, হিন্দু আইনে কোন ধরনের হাত দেওয়া হবে না- মর্মে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সরকারকে স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। অবিলম্বে শাহীন আনামসহ যে সকল এনজিও হিন্দু পরিবার, সমাজ ও ধর্ম বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে হিন্দু সমাজ ও পরিবারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। শাহীন আনাম গংদের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিকট শর্তহীন ক্ষমা চাইতে হবে। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সরকার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলে সারাদেশে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। এতেও কাজ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, সনাতন ল’ ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শঙ্কর দাস, বৈদিক সমাজ বাংলাদেশের স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন মিশ্র, বাংলাদেশ হিন্দু লীগের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর সরকার, শ্রীগুরু সংঘের সাধারণ সম্পাদক মনঞ্জয় কৃষ্ণ দত্ত, ভক্ত সংঘের সাধারণ সম্পাদক অনিল পাল, বাংলাদেশ মন্দির মিশনের সভাপতি সুশান্ত পাল, বাংলাদেশ হিন্দু ল’ ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র দাস প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর
শসার দামে সেঞ্চুরি
শসার দামে সেঞ্চুরি
ইউএনডিপির আইনের শাসন সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন প্রধান বিচারপতি
ইউএনডিপির আইনের শাসন সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন প্রধান বিচারপতি
ঈদের দিন ৩ বিভাগে বৃষ্টির আভাস
ঈদের দিন ৩ বিভাগে বৃষ্টির আভাস
পরিবেশসম্মতভাবে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আহ্বান পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের
পরিবেশসম্মতভাবে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আহ্বান পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের
'আওয়ামী লীগের ‘লুটপাটের’ বাজেটের সঙ্গে এই বাজেটের পার্থক্য নেই'
'আওয়ামী লীগের ‘লুটপাটের’ বাজেটের সঙ্গে এই বাজেটের পার্থক্য নেই'
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা টোল আদায়
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা টোল আদায়
ট্রেনে ফিরতি ঈদযাত্রা: আজ বিক্রি হবে শেষ দিনের টিকিট
ট্রেনে ফিরতি ঈদযাত্রা: আজ বিক্রি হবে শেষ দিনের টিকিট
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইলে সারচার্জ বন্ধে আইনি নোটিশ
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইলে সারচার্জ বন্ধে আইনি নোটিশ
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ জুন)
খালেদা জিয়ার হাতে গুলশানের বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার হাতে গুলশানের বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা
কুক্ষিগত হয়ে গেল জুলাই বিপ্লব?
কুক্ষিগত হয়ে গেল জুলাই বিপ্লব?
বজ্রসহ বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
বজ্রসহ বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
সর্বশেষ খবর
বগুড়ায় প্রস্তুত কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ
বগুড়ায় প্রস্তুত কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার গড়িমসি কেন: রিজভী
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার গড়িমসি কেন: রিজভী

২ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঈদযাত্রা নিরাপদ রাখতে মহাসড়কে র‌্যাবের টহল ও তল্লাশি অভিযান
ঈদযাত্রা নিরাপদ রাখতে মহাসড়কে র‌্যাবের টহল ও তল্লাশি অভিযান

৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
বগুড়ায় ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বারহাট্টায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত
বারহাট্টায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০
টঙ্গীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়
বরিশালে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
গোপালগঞ্জে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বারহাট্টায় ভারতীয় শাড়ি বোঝাই ট্রাক জব্দ করলো জনতা
বারহাট্টায় ভারতীয় শাড়ি বোঝাই ট্রাক জব্দ করলো জনতা

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো, ছোট গরুর চাহিদা বেশি
জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো, ছোট গরুর চাহিদা বেশি

৪৮ মিনিট আগে | হাটের খবর

ঈদে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বর্ণিল ঈদ আয়োজন
ঈদে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বর্ণিল ঈদ আয়োজন

৫০ মিনিট আগে | শোবিজ

ব্রহ্মপুত্রে বাড়ছে পানি, ভাঙনের ঝুঁকিতে ৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ব্রহ্মপুত্রে বাড়ছে পানি, ভাঙনের ঝুঁকিতে ৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের কাজ শুরু
নারায়ণগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের কাজ শুরু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সিলেটে ২৯৪১ ঈদগাহ-মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত
সিলেটে ২৯৪১ ঈদগাহ-মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভোগান্তি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে
ভোগান্তি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীকে নিয়ে পরকীয়ার সন্দেহ, শ্যালিকার হাতে দুলাভাই খুন!
স্ত্রীকে নিয়ে পরকীয়ার সন্দেহ, শ্যালিকার হাতে দুলাভাই খুন!

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ি পৌরসভার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ি পৌরসভার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহেশপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান: আগ্নেয়াস্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার
মহেশপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান: আগ্নেয়াস্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে ১৫ ককটেলসহ ২ যুবক গ্রেফতার
মুন্সিগঞ্জে ১৫ ককটেলসহ ২ যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বনাথে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
বিশ্বনাথে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

২ ঘণ্টা আগে | হাটের খবর

যানজট নেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে
যানজট নেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলা কমিটি দিল এনসিপি
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলা কমিটি দিল এনসিপি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণে আক্রান্ত সুন্দরবন
প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণে আক্রান্ত সুন্দরবন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকার পথে কৃষক সোহাগ
খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকার পথে কৃষক সোহাগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেয়েকে ওঝার কাছে বিক্রি! অতঃপর...
মেয়েকে ওঝার কাছে বিক্রি! অতঃপর...

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সিদ্ধিরগঞ্জে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে শতাধিক বাড়িতে বৃক্ষরোপণ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে শতাধিক বাড়িতে বৃক্ষরোপণ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শসার দামে সেঞ্চুরি
শসার দামে সেঞ্চুরি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘কেউ জানে না আমি  প্লেনটি উড়িয়ে দেবো’
‘কেউ জানে না আমি প্লেনটি উড়িয়ে দেবো’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
খালেদা জিয়ার হাতে গুলশানের বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার হাতে গুলশানের বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা-সোহেলের গোলে ভুটানকে হারাল বাংলাদেশ
হামজা-সোহেলের গোলে ভুটানকে হারাল বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বজ্রসহ বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
বজ্রসহ বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনের ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নেবেন পুতিন; ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
ইউক্রেনের ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নেবেন পুতিন; ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানি নারীর বাড়ি থেকে ১০০ বিড়ালের মরদেহ উদ্ধার, অতঃপর…
জাপানি নারীর বাড়ি থেকে ১০০ বিড়ালের মরদেহ উদ্ধার, অতঃপর…

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুক্ষিগত হয়ে গেল জুলাই বিপ্লব?
কুক্ষিগত হয়ে গেল জুলাই বিপ্লব?

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দল ঘোষণা, ফিরলেন এবাদত
শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দল ঘোষণা, ফিরলেন এবাদত

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগ্রায় রিল বানাতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল ৬ কিশোরীর
আগ্রায় রিল বানাতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল ৬ কিশোরীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীকে নিয়ে পরকীয়ার সন্দেহ, শ্যালিকার হাতে দুলাভাই খুন!
স্ত্রীকে নিয়ে পরকীয়ার সন্দেহ, শ্যালিকার হাতে দুলাভাই খুন!

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াত : ইসি
প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াত : ইসি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজার গোলে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
হামজার গোলে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৫২১
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৫২১

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঈদের দিন ৩ বিভাগে বৃষ্টির আভাস
ঈদের দিন ৩ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্ষমতায় গেলে ১৮০ দিনে যা করবে বিএনপি
ক্ষমতায় গেলে ১৮০ দিনে যা করবে বিএনপি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র!
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র!

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইলে সারচার্জ বন্ধে আইনি নোটিশ
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইলে সারচার্জ বন্ধে আইনি নোটিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইশরাকের শপথের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় : ইসি
ইশরাকের শপথের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় : ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার ১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
এবার ১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকার পথে কৃষক সোহাগ
খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকার পথে কৃষক সোহাগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষ পর্বের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষ পর্বের ফল প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাঁচ ব্যাংক নিয়ে ইসলামী ধারার বড় ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত
পাঁচ ব্যাংক নিয়ে ইসলামী ধারার বড় ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘কেউ জানে না আমি  প্লেনটি উড়িয়ে দেবো’
‘কেউ জানে না আমি প্লেনটি উড়িয়ে দেবো’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় থাকা তুরস্কের সেনারা এখনই ফিরছে না
সিরিয়ায় থাকা তুরস্কের সেনারা এখনই ফিরছে না

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কি এবং কেন, বিশ্ব প্রতিক্রিয়া কি?
ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কি এবং কেন, বিশ্ব প্রতিক্রিয়া কি?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরসিবির জয়োৎসবে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু
আরসিবির জয়োৎসবে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছেলের বিলাসী জীবন নিয়ে বিতর্কের মুখে প্রধানমন্ত্রী বাবার পদত্যাগ
ছেলের বিলাসী জীবন নিয়ে বিতর্কের মুখে প্রধানমন্ত্রী বাবার পদত্যাগ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০০ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
১০০ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৭ সাল থেকে মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষা উপদেষ্টা
২০২৭ সাল থেকে মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাল ক্লুনির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র?
আমাল ক্লুনির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠক হবে কি?
লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠক হবে কি?

প্রথম পৃষ্ঠা

বানরের পিঠা ভাগের পর নির্বাচন
বানরের পিঠা ভাগের পর নির্বাচন

সম্পাদকীয়

পবিত্র হজ আজ
পবিত্র হজ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

২০ টাকার নতুন নোট বাতিল চায় হেফাজত
২০ টাকার নতুন নোট বাতিল চায় হেফাজত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

টিউলিপ সিদ্দিকের ১৩ বছরের কর নথি জব্দ দুদকের
টিউলিপ সিদ্দিকের ১৩ বছরের কর নথি জব্দ দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

নাকাল চামড়াশিল্প
নাকাল চামড়াশিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘরমুখো জনস্রোত
ঘরমুখো জনস্রোত

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সম্ভব
আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সম্ভব

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন এলাকায় বন্যার শঙ্কা
নতুন এলাকায় বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি
দেশি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

এই ঈদেও জমেছে কেনাকাটা
এই ঈদেও জমেছে কেনাকাটা

পেছনের পৃষ্ঠা

কুক্ষিগত হয়ে গেল জুলাই বিপ্লব?
কুক্ষিগত হয়ে গেল জুলাই বিপ্লব?

প্রথম পৃষ্ঠা

ঈদে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিশেষ প্রস্তুতি
ঈদে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিশেষ প্রস্তুতি

নগর জীবন

ক্ষমতায় গেলে ১৮০ দিনে যা করবে বিএনপি
ক্ষমতায় গেলে ১৮০ দিনে যা করবে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন জরুরি কাজ নয়
মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন জরুরি কাজ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটি ঘোষণা
ছুটি ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঈদে ভোটের হাওয়া
ঈদে ভোটের হাওয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়ার হাতে বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার হাতে বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার মতো উন্নয়নের সবক শোনাচ্ছে সরকার
হাসিনার মতো উন্নয়নের সবক শোনাচ্ছে সরকার

নগর জীবন

সন্ধ্যায় জেল থেকে বের হয়ে রাতেই ডাকাতির প্রস্তুতি!
সন্ধ্যায় জেল থেকে বের হয়ে রাতেই ডাকাতির প্রস্তুতি!

খবর

বাংলাদেশে খেলতে আর কোনো বাধা নেই মিচেলের
বাংলাদেশে খেলতে আর কোনো বাধা নেই মিচেলের

মাঠে ময়দানে

ভুল সংবাদে ব্যবস্থা নেবে সরকার
ভুল সংবাদে ব্যবস্থা নেবে সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

নিষ্ঠুরতার চিত্র জানাতে হবে বিশ্ববাসীকে
নিষ্ঠুরতার চিত্র জানাতে হবে বিশ্ববাসীকে

প্রথম পৃষ্ঠা

নেতানিয়াহুর সস্তা সংস্করণ হচ্ছেন মোদি
নেতানিয়াহুর সস্তা সংস্করণ হচ্ছেন মোদি

পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে ১ লাখ ড্রোন দিচ্ছে ব্রিটেন
ইউক্রেনকে ১ লাখ ড্রোন দিচ্ছে ব্রিটেন

পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা
শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা

প্রথম পৃষ্ঠা

জনগণের মতামত ছাড়াই বাজেট ঘোষণা
জনগণের মতামত ছাড়াই বাজেট ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন দফা সময় বাড়িয়েও শেষ হয়নি ৫৫৪ কোটি টাকার কাজ
তিন দফা সময় বাড়িয়েও শেষ হয়নি ৫৫৪ কোটি টাকার কাজ

নগর জীবন

ঈদ ছুটিতে ফুটবল উন্মাদনা
ঈদ ছুটিতে ফুটবল উন্মাদনা

মাঠে ময়দানে