দৌলতদিয়া পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি, নাব্যতা সংকট ও যানবাহনের চাপে ফেরিঘাট এলাকায় দুর্ভোগ চরমে। যানবাহনের চাপে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যানবাহনকে দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট এড়িয়ে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। যমুনা সেতু ব্যবহারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
শনিবার রাত সারে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ফেরিপারের অপেক্ষায় ছিল প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন। গতকাল বিকেল থেকে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও রাত থেকে নৈশকোচ যুক্ত হওয়ায় ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
আজ দুপুরে গোয়ালন্দ ফেরিঘাট এলাকায় কাভার্ডভ্যান চালক মো. মিরাজ শেখ বলেন, গতকাল সারারাত গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে ছিলাম। ফেরিপার হতে রাত হয়ে যাবে হয়তো। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু ব্যবহারের জন্য। সেখান দিয়ে যেতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। খচর বেশি। তাই কষ্ট হলেও দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করছি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
বাসচালক মো. আলম মিয়া বলেন, রাজবাড়ীর পুলিশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাসগুলো ফেরিপারের সুযোগ করে দিচ্ছে তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা ফেরিঘাটে আসতে পারছি। রাতে আমাদের গাড়িগুলোকে ৫-৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেতে হয়। তিনি বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট নিয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হয়েছে। তাদের সঠিক কোন পরিকল্পনা এই রুটকে ঘিরে দেখা যায় না।
রাজবাড়ীর ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর তারক চন্দ্র পাল বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারগুলোকে পার করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমরা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানগুলোকে বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্র্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপের বৃদ্ধির কারণে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। দুইটি ফেরি মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে রয়েছে। সেই দুইটি ফেরি বহরে যুক্ত হলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল