জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শনিবারও সারাদেশে বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটে চলা সাধারণ যাত্রীরা। রাজধানীতে অটোরিকশা, রিকশা ও বাইকের ভাড়া চার গুণ হয়ে গেছে। ২০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে।
রাজধানীর প্রতিটি বাস স্টপেজে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের ভিড়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা।
শনিবার সকালে দেখা গেছে, কর্মজীবী মানুষেরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকে জরুরি কাজে বাসা থেকে বের হয়ে গণপরিবহন না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন। রিকশা নিয়ে পথের দূরত্ব কমাতে হচ্ছে তাদের। ধর্মঘটের কারণে রাজধানীসহ সারা দেশেই সাধারণ মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। রাজধানীতে অটোরিকশা, রিকশা ও বাইকের ভাড়া তিন গুণ হয়ে গেছে। ২০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বুধবার মধ্যরাত থেকে ডিজেল-কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে ভাড়া বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম কমানো না হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক পরিষদের নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তারা এ কথা জানান।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন