দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সাইফুল ইসলাম সাদ (২৩) নামে চট্টগ্রামের পটিয়ার এক যুবককে আটক করেছে রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশ।
বসুন্ধরার এমডিকে হত্যাচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনার ব্যবসায়ী নেতারা।
বসুন্ধরা এমডির হত্যা চেষ্টার ঘটনা বর্বরোচিত জঘন্য ও ন্যক্কারজনক আখ্যায়িত করে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর নিজ প্রতিষ্ঠানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও উদ্ভাবনী শক্তি তাকে উদ্যোক্তা হিসেবে অন্য দশজনের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের সেরা উদ্যোক্তাদের কাতারে উঠে এসেছেন তিনি। এমন একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আটক ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আটক ব্যক্তিসহ নেপথ্যে যারা জড়িত আছে তাদের দ্রুত বিচার না হলে দুর্বার প্রতিরোধ ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলবে ব্যবসায়ীরা।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের অপর এক পরিচালক চৌধুরী মিনহাজ-উজ জামান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে হত্যাচেষ্টা মেনে নেওয়া যায় না। আটক সাইফুল ইসলাম সাদ এ ঘটনায় একা দায়ী কিনা বা কারা দায়ী তা চিহ্নিত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দায়ী অন্যান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে বারবার হত্যাচেষ্টা করছে একটি দুর্বৃত্তচক্র। আটক সাদ হয়তো সে চক্রের একজন সদস্য মাত্র। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে সরকারের কাছে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত