বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে নরসিংদীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শহরের হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে নরসিংদীর সচেতন নাগরিক সমাজ এর ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে হত্যাচেষ্টার সাথে জড়িত সাইফুল ইসলাম সাদের ফাঁসির দাবি জানানো হয়। একই সাথে বসুন্ধরা এমডিকে হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত পটিয়ার সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং তার ছেলে নাজমুল করিম ওরফে শারুন চৌধুরীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। অবিলম্বে পরিকল্পনাকারীদের আইনের আওতায় আনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও মানববন্ধনে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। মানববন্ধনে ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের মানুষজন অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নরসিংদী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রবীণ সাংবাদিক নিবারন রায়, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক প্রীতিরঞ্জন সাহা, দৈনিক সমসংযোগ পত্রিকার সম্পাদক আহাদুল হক সমীর, ব্যবসায়ী নেতা শাকীল আহাম্মেদ, নরসিংদী শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মাসুম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে বসুন্ধরা গ্রুপের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বসুন্ধরা গ্রুপ একদিকে দেশের উন্নয়ন করছে অন্যদিকে লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলছে। করোনাকালীন দুর্যোগে মানুষের চিকিৎসায় দ্রুত হাসপাতাল স্থাপনসহ দেশের প্রতিটি জেলার অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা, সুরক্ষা সামগ্রীসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করে মানুকে বাঁচিয়ে রাখার নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে যখন অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে, তখন বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিটি জেলার হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সহায়তা দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে গেছে। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের এমডিকে হত্যাচেষ্টা মানে হচ্ছে, দেশের উন্নয়নকে হত্যার সামিল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে বসুন্ধরা এমডিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত পটিয়ার সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং তার ছেলে নাজমুল করিম ওরফে শারুন চৌধুরীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।