বরিশাল-ঢাকাসহ সারা দেশে যাত্রীবাহি নৌযান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল সংস্থা (লঞ্চ মালিক সমিতি)। জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতের যাত্রী ভাড়া পুনর্নির্ধারণ না করায় লোকসানের আশংকায় শনিবার দুপুর ২টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এর আগে শুক্রবার থেকেই বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীন এবং দূরপাল্লা রুটের বাস চালাচল। আকস্মিক লঞ্চ বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণের ৬ জেলার লাখ লাখ নৌ যাত্রী।
সংস্থার সহ-সভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করায় প্রতি ট্রিপে ১ থেকে দেড় লাখ টাকার জ্বালানী খরচ বেশী হচ্ছে। কিন্তু সরকার ভাড়া পুননির্ধারণ করেনি। লঞ্চ মালিক সমিতি গত শুক্রবার এক জরুরী সভা করে রেজুলেশন আকারে ভাড়া পুনর্নির্ধারনের দাবি জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে। শনিবার বেলা ১২টার মধ্যে ভাড়া পুনর্নির্ধারনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। এমনকি মালিক নেতৃবৃন্দকে ডেকে কোন আশ্বাসও দেয়নি। এ অবস্থায় মালিক সমিতি নেতৃবৃন্দ লোকসানের আশংকায় দুপুর ২টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার ভাড়া বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।
এদিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকামুখী লঞ্চে ভিড় করেন কয়েক হাজার যাত্রী। হঠাৎ লঞ্চ বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন তারা। একই অবস্থা ছিলো বিভাগের অন্যান্য জেলার নদী বন্দরে নোঙ্গর করে রাখা ঢাকামুখী লঞ্চগুলোতে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল