মোংলা বন্দরে চারটি বগি ও দুটি ইঞ্জিন নিয়ে আসা ঢাকা মেট্রোরেলের সরঞ্জাম বন্দর জেটির ৯ নম্বর জেটিতে খালাস শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে ঢাকা মেট্রোরেলের সরঞ্জাম মোংলা বন্দরে খালাস শুরু হয়।
পানামা পতাকাবহী ‘ব্রাইটলি কোরাল’ জাহাজটি শুক্রবার রাতে মেট্রোরেলের চারটি বগি ও দুটি ইঞ্জিন নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে।
গত ২৫ অক্টোবর জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা এই জাহাজে মেট্রোরেলের বগি ছাড়াও ৮০ প্যাকেজের ৪২৩ মেট্রিক টনের সরাঞ্জম খালাসের পর নৌপথে নিয়ে যাওয়া হবে ঢাকার দিয়াবাড়ি’র মেট্রোরেলের ডিপোতে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পানামা পতাকাবহী বিদেশি জাহাজ ‘এম ভি ব্রাইটলি কোরালে’র স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আজ পর্যন্ত মোট ছয়টি জাহাজে করে মেট্রোরেলের মোট ৪৮টি বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। আগামী মাসে মেট্রোরেলের আরও একটি চালান আসার কথা রয়েছে। সব মিলে ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের আরও ৯৮ টি বগি ও ইঞ্জিন আসবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে পাঁচটি জাহাজে করে সর্বমোট ৪৪টি বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব বগি সংযোজন হয়ে ইতোমধ্যে বাস্তবে রুপ নিয়েছে। গত ২৯ আগস্ট উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত স্বপ্নের মেট্রোরেলের বাস্তবে পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, দেশে আমদানি হওয়া মেট্রোরেলের এসব বগি মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার ক্ষেত্রে বন্দরের সক্ষমতার প্রমাণ মিলেছে।
এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে আসে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বন্দরের আউটাবার ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ইনার বারের ড্রেজিং চলছে। নাব্য সংকট দূর হওয়ায় এখন বড় বড় জাহাজ এই বন্দরে ভিড়তে পারছে। সবমিলিয়ে এটা একটা প্রতিফলন যে মোংলা বন্দর একটি গতিশীল বন্দর হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মেট্রোরেলের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) বলছে, রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল-৬ নির্মিত হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন