৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:২০

মুরাদ কেন বিতর্কে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুরাদ কেন বিতর্কে

ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ার পর বিতর্কে জড়ান প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। ফাঁস হওয়া কথোপকথনে অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগের পাশাপাশি ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তথ্য প্রতিমন্ত্রীর শিষ্টাচারবিবর্জিত বক্তব্যের প্রতিবাদে এবং তার অপসারণ দাবি করে নারীনেত্রীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিবৃতি দিয়েছেন।

জানা যায়, কয়েকদিন ধরে টানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে থাকা ডা. মুরাদ হাসান শনিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোয় সাবেক এক নারী সংসদ সদস্যকে ‘মানসিক রোগে আক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার অভিজাত একটি সামাজিক ক্লাবে তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। তার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এর আগের দিন ইউটিউবে প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের নারী সদস্যকে উদ্দেশ করে অশালীন বক্তব্য দেন। সেখানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়েও ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করতে শোনা যায় তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে।

এসব নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ফোনালাপটি ফাঁস হয়। ফোনালাপের শুরুতে ডা. মুরাদের দাবি করা কণ্ঠের অন্যপাশে চিত্রনায়ক ইমনকে কথা বলতে শোনা যায়। চিত্রনায়ক ইমন ডা. মুরাদকে জানান, তিনি বনানীর একটি রেস্তোরাঁয় রয়েছেন। কথা বলার একপর্যায়ে মাহিয়া মাহিও তার সঙ্গে রয়েছেন জানিয়ে ইমন ডা. মুরাদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। ডা. মুরাদ চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে ফোনে পেয়ে বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে ‘অশ্লীল ভাষায়’ দেখা করার জন্য ‘নির্দেশ’ দেন তিনি। স্পষ্টভাবে ‘ধর্ষণ’ করার ইচ্ছার কথা বলেন। এজন্য প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী পাঠানোরও হুমকি দেন তিনি। মাহিয়া মাহিকে ঘাড় ধরে সোনারগাঁও হোটেলে তার কাছে নিয়ে যেতে চিত্রনায়ক ইমনকে নির্দেশ দেন ডা. মুরাদ।

ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপটি ‘সঠিক’ এবং প্রায় দুই বছর আগের বলে সাংবাদিকের জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ইমন। ইমন বলেন, ‘এটা ২০২০ সালের করোনারও আগের ঘটনা। ওইদিন রাতে ওয়াজেদ আলী সুমন ভাইয়ের “ব্লাড” সিনেমার মিটিং করছিলাম। তখন উনি (ডা. মুরাদ) হঠাৎ ফোন দেন। আমাকে ওই রাতের আগের দিনও তিনি কল দিয়েছিলেন। আমি ধরতে পারিনি। তাই তিনি শুরুতেই বলেন, “তুই ফোন ধরস নাই কেন?” একজন মন্ত্রী বারবার ফোন দিচ্ছেন আমি না ধরে তো থাকতে পারি না। তাই অনুষ্ঠানের মধ্যেই ধরেছি। বাকি আলাপ তো সবাই শুনেছেন। আসলে মাহির সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে তা কিন্তু আমি জানতে পারিনি। কারণ আমি মাহির হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে ডিরেক্টরের সঙ্গে আলাপ করছিলাম। মাহি কিন্তু আমাকে কিছুই বলেনি এ ব্যাপারে। আমার জানার অপশনও ছিল না। এখন অডিওটা শুনে আমি জানতে পারলাম সেদিন মাহি কতটা বিব্রত ছিল।’ ইমন বলেন, ‘একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী যে কোনো শিল্পীকে ফোন দিতেই পারেন। কিন্তু এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর