প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের বিচারাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। এখন থেকে ৫০ বছর, ১০০ বছর পরেও বিচারপ্রার্থী জনগণ তার রায়ের বেনিফিট (সুফল) পাবেন।
আজ সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সাহাবুদ্দীন আহমদের জানাজা শুরুর আগে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন তিনি।
সকাল ১০টার দিকে শাহাবুদ্দিন আহমদের মরদেহবাহী গাড়িটি সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে পৌঁছে। ১০টা ২০ মিনিটে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পূর্ব অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শাহাবুদ্দিন আহমদ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন তার দেয়া রায়ের মাধ্যমে। অষ্টম সংশোধনী মামলা, কখন স্যুট গ্রহণযোগ্য হবে বা হবে না; এই জাতি সুনির্দিষ্টভাবে বিচারাঙ্গনের সবাই সারা জীবন মনে রাখবে। এখন থেকে ৫০ বছর, ১০০ বছর পরেও বিচারপ্রার্থী জনগণ উনার রায়ের বেনিফিট (সুফল) পাবেন।’
জানাজার আগে শাহাবুদ্দিন আহমদের ছেলে সোহেল আহমদ বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে তিনি মনে-প্রাণে বিচারক ছিলেন। তার ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সন্তান, তার অধীনস্থ কর্মচারীদের ও সবার সঙ্গে যে ব্যবহার করতেন তাতে মনে হয়েছে মনেপ্রাণেই তিনি একজন বিচারক ছিলেন। সবার সঙ্গে সমান ব্যবহার করতেন তিনি।’
এদিকে, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে আজ রবিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ রয়েছে।
প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে শনিবার সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০ মার্চ কোর্টের উভয় বিভাগের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ২০ তারিখের কজলিস্টে উল্লিখিত মামলাসমূহ আগামীকাল ২১ তারিখ শুনানির জন্য গ্রহণ করা হবে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ শনিবার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার নিজ বাড়ি নেত্রকোনা এবং জাতীয় ঈদগাহে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার দাফন আজ সম্পন্ন হয়েছে। সূত্র: বাসস
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত